সরকারি হাসপাতালের নজিরবিহীন সাফল্য, কৃত্রিম যোনিদ্বারের মাধ্যমে মা হলেন বধূ
Unprecedented success of government hospital, mother becomes bride through artificial vagina

Truth Of Bengal: মঙ্গলবার রাতে কৃত্রিম যোনিদ্বারের জন্য মাতৃত্বের স্বাদ পেলেন তরুণী। ২০২৩ সালে কৃত্রিম যোনিদ্বার তৈরি করে নজির গড়েছে কল্যাণী জওহরলাল নেহরু হাসপাতাল। ওদিন রাতে এক সুস্থ পুত্রের জন্ম দিয়েছেন ওই তরুণী। জন্ম থেকেই মল ও যোনিদ্বার ছিল না তাঁর। কিন্তু এই কৃত্রিম যোনিদ্বারের সফল অস্ত্রোপচারের জন্য তা সফল হয়েছে।
পূর্ব বর্ধমানের ধাত্রিগ্রামের বছর ২১ এর বিবাহিতা তরুণী জটিল সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন কল্যানী জেএনএম হাসপাতালে প্রসূতি বিভাগে। ছোট থেকেই তরুণীর মলদ্বার ও যোনিদ্বার ছিলনা। পিজি হাসপাতালে মলদ্বারের চিকিৎসা হয়। কিন্তু যোনিদারের সমস্যা ছিল। ২০২৩ সালে পিজি হাসপাতালের চিকিৎসক কল্যানী জেএনএম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের চিকিৎসক মৃগাঙ্ক মৌলি সাহার কাছে চিকিৎসার জন্য পাঠায়।
২০২৩ সালে একটি অস্ত্রপ্রচার করে কৃত্রিম যোনিদ্বার তৈরি করেন চিকিৎসকরা। যেটা যোনিদ্বার এর সাথে জরায়ুর সংযোগ করেন। যেটা মা হতে গেলে অত্যন্ত গুরুত্ব। সেই অস্ত্র প্রচারের পর বিবাহিত তরুণী গর্ভবতী হন। এই ধরনের সমস্যা ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১ জনের হয়। আর বেসরকারি ভাবে এই চিকিৎসা করতে গেলে তা ব্যয়বহুল। সরকারি হাসপাতালে বিনা ব্যয়ে চিকিৎসা পেয়ে খুশি পরিবার।
এ বিষয়ে চিকিৎসক মৃগাঙ্কমৌলি জানান, “কৃত্রিম যোনিদ্বার তৈরির অস্ত্রোপচার সত্যিই খুব কঠিন ছিল। ২০২২ সালে ধরা পড়ে তরুণীর যোনিদ্বার নেই। পরীক্ষার পর তা জানার পরই ৮-৯ জনের একটি দল তৈরি করে কৃত্রিম যোনিদ্বার তৈরির সিদ্ধান্ত নিই। এই অস্ত্রোপচারে জরায়ুর মুখের সঙ্গে যোনিদ্বার যুক্ত করা হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় এই অস্ত্রোপচারকে ‘ভ্যাজিনোপ্লাস্টি’ বলে। এই অস্ত্রোপচার অনেকেরই হয়। তবে চিকিৎসার পর গর্ভধারণ বিরলতম ব্যাপার। ১ লাখ মানুষের মধ্যে ১ জনের ক্ষেত্রে তা হয়। এটা আমাদের কাছে সাফল্য তো বটেই, আনন্দেরও।” তরুণীর মা বলেন, “ওর ছোট থেকেই সমস্যা ছিল। পরে এসএসকেএম হাসপাতালে একটা অপারেশন হয়। কল্যাণীতে হয় আর একটা। মঙ্গলবার সন্তানের জন্ম দেয়। এখন সুস্থ আছে।”