
The Truth of Bengal: জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ ছয়টি চা বাগান অধিগ্রহণ করার কথা বলেন । আর এরপরই আশায় বুক বেঁধেছেন বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকরা। জলপাইগুড়ি জেলার রায়পুর চা বাগান প্রায় কুড়ি বছর ধরে বন্ধ। যদিও মাঝে একবার কিছুদিনের জন্য খুলেছিল, তবে বন্ধ চা বাগানের চেহারা বদলায়নি। আর যে কারণে বাগানের প্রায় ছয়শোর বেশি শ্রমিক কাজ হারিয়ে বেকায়দায় পড়েন। বর্তমানে অনেকেই পেটের টানে ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছেন।
পাশাপাশি চা বাগান বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অনেকের পড়াশোনাতেও ছেদ পড়েছে। এদিকে গত লোকসভা নির্বাচনের পূর্বে আলিপুরদুয়ার জেলার বীরপাড়ায় এসে জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষণা করেছিলেন বন্ধ চা বাগানের দায়িত্ব নেবে কেন্দ্র সরকার। যদিও পাঁচ বছর হতে চললেও কোনো বন্ধ চা বাগানের দায়িত্ব নেয়নি কেন্দ্র সরকার। এদিকে এবার বানারহাটে এসে প্রশাসনিক সভা থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ ছয়টি চা বাগান অধিগ্ৰহণের কথা বলেছেন। আর তাই আশায় বুক পাচ্ছেন জলপাইগুড়ির রায়পুর চা বাগানের শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্য সরকার বন্ধ ছয়টি চা বাগান অধিগ্ৰহণ করবে। আমরা আশায় আছি আমাদের চা বাগানটিও রাজ্য সরকার অধিগ্ৰহণ করবে। চা বাগান খুলে গেলে কাজ পাবেন চা শ্রমিকরা। আর উপার্জন হলেই চা বাগানের সমস্যার অনেকটা সমাধান হবে। যদিও বিজেপি নেতাদের দাবি সামনেই লোকসভা নির্বাচন তার আগে এসব ঘোষণা আইওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়। এখন দেখার বিষয় প্রশাসনিক ।সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পর বন্ধ চা বাগানগুলি রাজ্য সরকার অতি গ্রহণ করে কিনা।