রাজ্যের খবর

সুন্দরবনের মধু পেল GI তকমা, চাহিদা বাড়ার আশায় মউলেরা

Sundarban Honey 

The Truth of Bengal:  জয়নগরের মোয়া আগেই পেয়েছে জিআই তকমা। এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মুকুটে আরও একটি পালক। জিআই তকমা বা জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন পেল সুন্দরবনের মধু। জলপাইগুড়ির কালোনুনিয়া চাল, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমানের টাঙ্গাইল, মুর্শিদাবাদ, বীরভূমের গরদ এবং কোরিয়াল শাড়ির সঙ্গে জিআই তকমা পেয়েছে সুন্দরবনের মধুও। রাজ্যে তো বটেই গোটা দেশের কাছে এমনিতেই সুন্দরবনের মধুর চাহিদা আছে ব্যাপক। এবার জিআই তকমা পাওয়ায় সুন্দরবনের মধুর চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

সুন্দরবনের মধু সংগ্রহ অত্যন্ত কঠিন কাজ। জীবন বাজি রেখে বাঘের ডেরায় গিয়ে মধু সংগ্রহ করে আনেন মউলেরা। অনেককে বাঘের পেটে যেতে হয়। পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের তত্ত্বাবধানে সুন্দরনবন ব্যাঘ্র প্রকল্প ও ২৪ পরগনা বন বিভাগ এলাকায় মউলেরা বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে জঙ্গল থেকে মধু সংগ্রহ করতে যান। প্রায় মাস খানেক ধরে সুন্দরবনের গহীন অরণ্য থেকে মৌচাক খুঁজে খুঁজে সেখান থেকে মধু সংগ্রহ করেন মউলেরা। এরপর সেই মধু বন দফতর নির্দিষ্ট দামে মউলেদের থেকে কিনে নেয়।

জঙ্গল থেকে সংগ্রহ করে আনা মধু বিক্রি করতে আর হ্যাপা পোহাতে হয় না মউলেদের। দামও পান ভাল। গর কয়েক বছর ধরে মউলেদের কাছ থেকে মধু কিনে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগম প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে বাজারজাত করে আসছে। এই মধু বন উন্নয়ন নিগমের বিভিন্ন কটেজ সহ বন দফতরের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র থেকে বিক্রি করা হয়ে থাকে। তবে এবার জিআই তকমা মেলায় সুন্দরবনের মধুর চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সকলেই। তাতে বাড়তি অর্থ সমাগম হবে মউলেদের।

Related Articles