রাজ্যের খবর

“কেউ নিজের জীবন হারিয়েছেন, দয়া করে হাসবেন না” কপিল সিব্বলকে ধমক তুষার মেহতার

Someone lost their life please dont laugh Tusshar Mehtar scolds Kapil Sibal

Truth Of Bengal : বৃহস্পতিবার আরজিকর মেডিকেল কলেজে এবং হাসপাতালে এক চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শুনানি চলছিল। ঠিক তখনই সিবিআইয়ের প্রতিনিধিত্বকারী সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মরত কপিল সিবালকে তিরস্কার করেন। তিনি জানান, “কেউ প্রাণ হারিয়েছে এই ঘটনায় অন্তত হাসবেন না।”

দুজনের মধ্যে এই বাদানুবাদটি লক্ষ করা যায় যখন সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা কলকাতা পুলিশের FIR দায়ের করা নিয়ে ত্রুটিগুলির সমালোচনা করছিলেন, তখন কপিল সিবাল হেসে ওঠেন।

আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সিবিআইয়ের কাছে তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট জানতে চেয়েছিল শীর্ষ আদালত। এই ঘটনার শুনানির জন্য বসেছে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি ছাড়াও এই বেঞ্চে উপস্থিত আছেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র।

আরজি করের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের দাবি, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসকদের আইনজীবী জানান, “হাসপাতালে এখনও ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।” ছাত্রদের অভিযোগ শোনার পর প্রধান বিচারপতি জানান, “কে এমন করছেন? তাঁর নাম আমাদের দিন।” আইনজীবী চিকিৎসকদের বলেন, “রাজ্য এমন একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছে, যাতে তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে”।

তদন্তের স্টেটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে পেশ করল সিবিআই। প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে আমরা তদন্তের রিপোর্ট দেখব। তার পরে রাজ্যের গঠিত সিট নিয়ে আদালত বিবেচনা করবে।” এরপর রাজ্যের তরফ থেকেও আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। কর্মবিরতি ছেড়ে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের।

এরপর সিবিআই এবং রাজ্যের তরফ থেকে পেশ করা তথ্য পড়ছেন সুপ্রিম কোর্টের তিন বিচারপতি। রিপোর্ট পড়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন তাঁরা। সিবিআইয়ের কাছে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “আরজি কর-কাণ্ডে অভিযুক্তের মেডিক্যাল রিপোর্ট কোথায়”? কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উত্তর, এই রিপোর্ট রাজ্য তাঁদের দেয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল জানান, কেস ডায়েরির মধ্যে সমস্ত তথ্য রয়েছে।

Related Articles