সেজে উঠবে কথা সাহিত্যিকের বাসস্থান, আন্তরিক মুখ্যমন্ত্রীর অনুদান ঘোষণা
Sarat Chandra Heritage

The Truth of Bengal: কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মস্থান হুগলির দেবানন্দপুর। কয়েক মাস আগে সেই জায়গাটি পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ কোটি ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে কথাশিল্পীর বাসস্থান সংস্কার, সেখানে অতিথিশালা তৈরি ও শরৎচন্দ্র স্মৃতি পাঠাগারের সামনে সৌন্দর্যায়ন করা হবে। আশপাশের এলাকাও সেজে উঠবে। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশি জেলার মানুষ। খুশি শরৎচন্দ্র ভক্তরা। ১৮৭৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর হুগলির দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধায়।
গ্রামের পাঠশালার পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি ভর্তি হয়েছিলেন হুগলি ব্রাঞ্চ স্কুলে। সেখান থেকেই তিনি ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করার পর তিনি মামার বাড়ি ভাগলপুরে চলে যান। শরৎচন্দ্রের পবিত্র এই জন্মভিটেটি দেখার জন্য প্রতিবছর প্রচুর পর্যটক ছুটে আসেন হুগলির দেবানন্দপুরে। সত্তর দশকে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর জমানায় লেখকের বসতবাড়ি এবং লাইব্রেরির কিছুটা উন্নতি হয়েছিল। তারপর আর কিছু হয়নি। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণায় খুশির জোয়ার দেবানন্দপুরের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের মনে।
মুখ্যমন্ত্রী যখন পর্যটন কেন্দ্রের কথা ঘোষণা করেন তখন দেবানন্দপুরে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না, হুগলি জেলা তৃণমূল সাংগঠনিক সভাপতি তথা বিধায়ক অরিন্দম গুইন এবং চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জায়গাকে পর্যটন কেন্দ্র করে গড়ে তোলার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার মধ্যে বিশেষভাবে গুরুত্ব পেল হুগলির দেবানন্দপুর। বহুদিন অবহেলিত থাকা কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জন্মভিটে এবার নতুন ভাবে সেজে উঠতে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে। খুশি এলাকার মানুষ।