শান্তিনিকেতনে সোনাঝুরির খোয়াই হাটে ক্রেতার অভাবে চিন্তায় ব্যবসায়ীরা
Santiniketon Sonajhuri

The Truth Bengal: লালমাটির দেশ বীরভূম। এই জেলা আবার কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিবিজড়িত। প্রতিদিন দেশ বিদেশের বহু পর্যটক আসেন শান্তিনিকেতনে। সেই বীরভূম তথা শান্তিনিকেতনের অন্যতম আকর্ষণ সোনাঝুরি খোয়াই। শান্তিনিকেতন লাগোয়া সেচ ক্যানালের দু’পাশেই রয়েছে খোয়াই বন। বছরব্যাপী এই পর্যটন কেন্দ্রে দেশ বিদেশের মানুষ আসে। পৌষ উৎসবের সময়েও পর্যটকদের কাছে বাড়তি আকর্ষণ এই সোনাঝুরি বনের ভেতর খোয়াই হাট।
এখন যদিও সারা বছরই ভিড় জমে সোনাঝুরিতে। শান্তিনিকেতন ঘুরতে আসা পর্যটকরা একবারের জন্য হলেও শনিবারের হাটে আসবেনই। সেখান থেকে হস্তশিল্পীদের নানা সামগ্রী কিনে নিয়ে যান ক্রেতারা। কিন্তু, রবিবার দেখা গেলো খোয়াই হাট কার্যত খাঁ খাঁ করছে। ভিড় নেই ক্রেতাদের। চিন্তিত ব্যবসায়ীরা। বিশ্বভারতী কলাভবনের প্রাক্তন ছাত্রী প্রয়াত শ্যামলী খাস্তগিরের উদ্যোগে হাটটি ১৭ বছর আগে ‘শনিবারের হাট’ বলে এলাকায় পরিচিতি পায়। কারণ, হাট বসত শনিবার বিকেলে। তখন হাটটি শুরু করার মূল উদ্দেশ্য ছিল, পার্শ্ববর্তী মানুষ বিশেষ করে মহিলাদের তৈরি নানা হস্তশিল্প, বাড়িতে তৈরি খাবার বিক্রি করা।
পর্যটক সমাগম হওয়ায় আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে বিক্রি। তারপর ধীরে ধীরে এই ‘খোয়াই বনের অন্য হাট’ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এলাকার মানুষ বিশেষ করে উল্লেখ করা যায় মহিলাদের কথা যাদের হাতে তৈরি নানা সামগ্রী পাওয়া যায় খোয়াই হাটে। এই হাটে তাঁরা নিজেদের সামগ্রী বিক্রি করার সুযোগ পান। পৌষমেলায় ক্রেতাদের ভিড় উপচে পড়ে। তা ছাড়া প্রতিদিন বহু পর্যটক আসেন এই হাটে। রবিবার সেই হাটে দেখা গেল অন্য চিত্র। ক্রেতাদের অভাবে খাঁ খাঁ করছে হাট। চিন্তিত বিক্রেতারা।