সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল
Sandeep Ghosh's registration has been canceled by the state medical council

Truth Of Bengal: আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ আর ডাক্তারের উপাধি ব্যবহার করতে পারবেন না। প্রেসক্রিপশন লেখার অধিকারও তাঁর নেই। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপের চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করেছে পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিল। এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি তারা বৃহস্পতিবার জারি করেছে। দুর্নীতি, খুন এবং ধর্ষণের ঘটনায় প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সন্দীপ বর্তমানে সিবিআই হেফাজতে আছেন।
সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল pic.twitter.com/uJmuYE8XWw
— TOB DIGITAL (@DigitalTob) September 19, 2024
রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল জানিয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর সন্দীপকে কারণ দর্শানোর জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সন্দীপ উপযুক্ত জবাব দেননি, যার ফলে তাঁর নাম নথিভুক্ত চিকিৎসকদের রেজিস্টার থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।
আইএমএ-র রাজ্য শাখা মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতিকে মঙ্গলবার চিঠি পাঠিয়েছিল। বর্তমান সভাপতি তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত রায়। চিঠিতে সুদীপ্তকে অনুরোধ করা হয়েছিল যেন তিনি ‘ব্যক্তিগত সম্পর্ক’ না দেখে সন্দীপের নিবন্ধন বাতিল করেন। চিঠিতে তৃণমূলের আরেক চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেনের স্বাক্ষরও ছিল। শান্তনু আরজি কর-কাণ্ডের পর প্রতিবাদে সরব হয়েছেন, এবং তাঁর পরিবারও আন্দোলনে যোগ দিয়েছে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে এক চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, যার উপর খুন এবং ধর্ষণের অভিযোগ আছে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করছে। সন্দীপ ঘোষকে গত ২ সেপ্টেম্বর দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে, এবং ৬ সেপ্টেম্বর তাঁকে শোকজ করা হয়েছিল। তাঁকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে উত্তর দিতে হতো, নতুবা তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল হতো।
মেডিক্যাল কাউন্সিল বলেছে, চিকিৎসকের নিবন্ধন বাতিল করতে গেলে দুটি কারণ থাকতে হবে। প্রথমত, অপরাধের চক্রান্তে জড়িত থাকা এবং আদালতে দোষী প্রমাণিত হওয়া, এবং দ্বিতীয়ত, অপরাধমূলক কাজে জড়িত হয়ে সমাজে বদনাম হওয়া। তবে শোকজ না করে রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা নিয়মবিরুদ্ধ।