রাজ্যের খবর

ফুলে ফেঁপে উঠেছে নদীর জল, ফেরি পরিষেবা বন্ধ হুগলিতে

River water swelled, ferry services stopped in Hooghly

The Truth Of Bengal : হুগলি : ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে। ফুলে উঠছে নদীর জল। রেমাল আসার জানান দিচ্ছে হুগলিতেও। তাই বন্ধ করে দেওয়া হল হুগলির ফেরি পরিষেবা।

হুগলির গুপ্তিপাড়া থেকে উত্তরপাড়া গঙ্গায় যতগুলি ফেরিঘাট রয়েছে, সেখানে এখন লোহার শিকল দিয়ে ভেসেলগুলিকে জেটিতে বেঁধে রাখার কাজ চলছে। ফেরিঘাটে পরিবহন দফতর আগেই লঞ্চ পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল। তাই রবিবার উত্তরপাড়া-কোন্নগর ফেরিঘাটগুলিতে থরে থরে ভেসেল বাঁধা থাকতে দেখা যায়।
ফেরিঘাটের কর্মীরা জানিয়েছেন, জোয়ারে গঙ্গার জল অনেকটাই ফুলে উঠেছে। সকাল থেকেই ঝোড়ো হাওয়া বইছে। রাতে বাংলাদেশে ল্যান্ড ফল করবে রেমাল। ঝড়ের গতিবেগও ভাল থাকবে। সেই সময়ে যাতে ভেসেল জলে ভেসে না যায়, তাই লোহার চেন, মোটা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে জেটির সঙ্গে। তবে সবকটি ভেসেলকে জেটিতে বাঁধা যাবে না। তাই সেগুলি জন্য বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

হুগলি জেলাশাসক মুক্তা আর্য জানিয়েছেন, ঝড়ের সতর্কতায় সব রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নদীপারে যাঁরা কাঁচা বাড়িতে থাকেন, তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ফ্লাড শেল্টারে। পানীয় জল, শুকনো খাবার মজুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের আগে জেলার ফেরিঘাট গুলিকে বন্ধ রাখা হয়েছে।

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।ঝড়ে গাছ বিদ্যুতের খুঁটি ভাঙলে তা সরাতে।বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা তাঁদের প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছেন। দমকল বিদ্যুৎ দফতর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

জেলা কৃষি দফতর ও উদ্যান পালন দফতর থেকে মাইক প্রচার করা হচ্ছে। চাষিদের ঝড়ের সময় মাঠে থাকতে নিষেধ করা হয়েছে। কলা, সব্জির পাশাপাশি আম লিচু ঝড়ে পরতে পারে তাই যতটা সম্ভব ফসল ঘরে তুলে ফেলতে বলা হচ্ছে। এসময় জেলায় তিল-বাদাম চাষ হয়। সেই জমিতে জল জমলে জল বের করার ব্যবস্থা করতে হবে বলেও প্রচার চলছে।
ওসি বিপর্যয় মোকাবেলা দফতর মাসুদুর রহমান বলেন, জেলার পাশাপাশি মহকুমা পুরসভা এবং ব্লকগুলোতেও কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।সেখান থেকে সব সময় আপডেট খবর আসবে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সমস্ত দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করা হবে।

Related Articles