বিজেপির পাইয়ে দেওয়ার রাজনীতির বিরুদ্ধে জনরোষ ভয়ানকভাবে বাড়ছে
Public anger against BJP's politics of appeasement is growing alarmingly

Truth Of Bengal: তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরা যখন তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছে তখন বিজেপির পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে বাড়ি হাতানোর অভিযোগ উঠছে। অভিযোগ, মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর পঞ্তায়েতের উপপ্রধান তাঁর দুই আত্মীয়কে বাড়ি পাইয়ে দিয়েছেন। প্রকৃত গৃহহীনদের বাড়ি না দিয়ে গেরুয়া শিবিরের এই স্বজনপোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্রতর হচ্ছে।
বঙ্গ রাজনীতিতে সততার নজির গড়তে চায় তৃণমূল কংগ্রেস। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশমতো আবাসের তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা বাড়ি ফিরিয়ে দিচ্ছেন। পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া, দুই ২৪পরগনায় এই নিয়ে হাজারো নজির তুলে ধরে অবস্থান স্পষ্ট করছে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই ব্যতিক্রমী নজিরের মাঝে নেতিবাচক উদাহরণ তৈরি করছে রাজ্যের বিজেপির পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা।
অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুরের ২ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর পঞ্চায়েতের বিজেপির উপ-প্রধান কুন্দন মণ্ডলের ৪ পরিজনের নামও রয়েছে আবাসের তালিকায়। আর স্বজনপোষণের সেই গুরুতর অভিযোগ ঘিরে তপ্ত মালদার ইসলামপুর। জনরোষের তীব্রতায় ফুটছে শীতের গৌড়বঙ্গ। দাবি আদায়ে মরিয়া মানুষ ভয় না পেয়েই বিজেপির নেতাদের তীক্ষ্ম ভাষায় তোপ দাগছেন।
হরিশ্চন্দ্রপুর দু’নম্বর ব্লক এর ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান কুন্দন মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের বহর বাড়ায় অস্বস্তিতে এই রাজ্যের বিরোধীরা। যাঁরা পরিবারতন্ত্র বা স্বজনপোষণের রাজনীতির বিরুদ্ধে সবসময় মুখর থাকেন, এখন তাঁদের মুখ পোড়ায় কার্যতঃ মুখ লুকোতে ব্যস্ত জেলা বিজেপির নেতারাও। দুর্নীতি আর বেনিয়মের কাঁটা কতটা বিঁধছে বিজেপিকে, কতটা অস্বস্তির মুখে ফেলছে ক্ষমতা হাতে পাওয়া পঞ্চায়েতের পদাধিকারীকে?
এই নিয়ে বিডিও অফিসে অভিযোগ জানান এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয়দের অভিযোগ জনপ্রতিনিদের নাম তাদের আত্মীয়দের নাম তালিকা তে থাকলেও বাদ দেওয়া হয়েছে গ্রামের গরীব মানুষদের নাম। তালিকায় নাম থাকার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ইসলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান। দুর্নীতির পাঁকে ডুবে থাকা বিজেপির পদাধিকারীদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিক, দলমত নির্বিশেষে মানুষ এখন এটাই চান।