রাজ্যের খবর

প্রেমিকের সঙ্গে সংসার পাততে সন্তানকে নির্মম অত্যাচার মায়ের!

Mother brutally tortures her child to get married to her lover!

Truth Of Bengal: প্রেমিকের সঙ্গে সংসার বাঁধার জন্য প্রথম পক্ষের সন্তানকে প্রাণে মারার ষড়যন্ত্র করে মা। ছোট্ট শিশুকে নির্মম অত্যাচার করে দুজন মিলে। আরও অভিযোগ, ৬বছরের শিশুর গায়ে দেওয়া হয় সিগারেটের ছ্যাঁকা। আধমরা করে শিশুটিকে ফাঁকা মাঠে ফেলে দিয়ে আসে বাবা-মা। পরে পিঁপড়ের কামড়ে জ্ঞান ফেরে শিশুটির। সংজ্ঞা ফিরতেই  নির্মম ঘটনার কথা প্রতিবেশীদের জানায় শিশুটি। দেওয়া হয় পুলিশকে খবর। পুলিশ রামনগরের অভিযুক্ত মাও সত্ বাবাকে গ্রেফতার করেছে।

কথায় বলে মা হওয়া কী মুখের কথা, যে বোঝে না সন্তানের ব্যথা। অর্থাত্ যদি কোনও মায়ের মমত্ব, ভালোবাসা না থাকে তিনি মা হতেই পারেন না। সেরকমই এক নৃশংতম মায়ের কুকীর্তির অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়েছে  রামনগরের  উত্তর হলদিয়ায়। বছর পাঁচেক আগে স্বামী কার্তিক গিরি মারা যাওয়ার পর  নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে মামনি গিরি। প্রেমিকের সঙ্গে নির্বিঘ্নে সংসার বাঁধার পরিকল্পনা করে।সন্তানকে পথের বাধা মনে করে সেই  মা নিজের সন্তানকেই মেরে ফেলার ছক কষে। ছোট্ট শিশুকে সংসারের বোঝা মনে করে চালায় অত্যাচার। মঙ্গলবার গভীর রাতে অমানুষিক অত্যাচার করা হয়।

মারের চোটে ভেঙে যায় দুটো হাত, আঘাত লাগে মাথায়। রাতভর বেধড়ক মারে জ্ঞান হারায় শিশুটি। মৃত ভেবে শিশুটিকে তার মা মামনি গিরি ও সত্ বাবা সুকদেব মণ্ডল দুকিলোমিটার দূরের  ঝোপের আড়ালে ফেলে আসে।ভাবে বন্যপ্রাণীরা টেনে নিয়ে যাবে। তবে বরাত জোরে বেঁচে যায় শিশুটি। পিঁপড়ের কামড়ে ভোরবেলায় জ্ঞান ফেরে শিশুটির। কাঁদতে কাঁদতে শিশুটি  উঠে গিয়ে  প্রতিবেশীদের কাছে জল চায়। রক্তাক্ত শিশুর কাছে হাড়হিম করা নৃশংস ঘটনার কথা জানার পর রামনগরের উত্তর হলদিয়ার খয়রান্ডার বাসিন্দারা হতবাক হয়ে যায়। নিষ্ঠুর মায়ের কুর্কীতির নিন্দায় সরব সকলে।

পিঠে-পায়ে আঘাতের চিহ্ন,জ্বলন্ত সিগারেটের ছ্যাঁকায় অস্থির হওয়া শিশুর কথা শুনে প্রতিবেশীরা কঠোর সাজার দাবি তোলে।কথায় বলে,কুসন্তান যদিও হয় কুমাতা কখনও নয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই কুমাতার অমানবিকতা সমাজকে সতর্কবার্তা দিচ্ছে।নাড়ির বাঁধন আলগা হয়ে পড়ায় উদ্বিগ্ন সমাজবিদরা। সমাজের সামগ্রিক অবনয়নের কথা তুলে ধরছেন মনোবিদরাও।

জনমতের চাপে পুলিস শিশুর মা ও সৎ বাবাকে  গ্রেফতার করেছে। নিজের ফুটফুটে সন্তানকে কিকরে মা খুনের  কথা চিন্তা করতে পারে তা স্বপ্নেও ভাবতে পারছে না এলাকার মানুষজন। বন্যপ্রাণীরা  কখনও এভাবে সন্তানকে অত্যাচার করে না,সেখানে মানুষ কীকরে এত নীচে নামতে পারে,তা ভেবেই পাচ্ছে না কে্উ।  প্রত্যেকে চাইছেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক  নিষ্ঠুর-অমানবিক  দম্পতির, যাতে আগামীদিনে শিশু নিপীড়নের ঘটনা এড়ানো যায়।

Related Articles