রাজ্যের খবর

জয়নগর-কাণ্ডে ‘বড়ভাই’-এর পরিচয় প্রকাশ্যে, ‘মাস্টারমাইন্ড’ আনিসুর লস্কর

Joynagar Issue

The Truth of Bengal: জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনে রহস্যের জট ক্রমশ খুলছে। খুনের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড দোলুয়াখাঁকির আনিসুর লস্কর। তদন্তে এখনও পর্যন্ত এটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। নিহত তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের পরিবারের পক্ষ থেকে যে FIR করা হয়েছে সেখানে তার নাম আছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত একমাত্র ধৃত সাহরুল যে ‘বড়ভাই’-এর কথা জানিয়েছিলে, সেই বড়ভাইয়ের আসল পরিচয়ও জানা গেলে। তার নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই। যিনি মন্দিরবাজার থানা এলাকার টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা। আলাউদ্দিন সাঁপুই এলাকায় সিপিএম  নেতা হিসেবে পরিচিত।

.জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে বড় ‘ব্রেক থ্রু’ পুলিশের

.জয়নগর-কাণ্ডের ‘মাস্টারমাইন্ড’ আনিসুর লস্কর নামে এক ব্যক্তি

.নিহত তৃণমূল নেতার পরিবারের পক্ষ থেকে FIR-এ নাম আনিসুরের

.ধৃত সাহারুলের কথায় ‘বড়ভাই’-এর নাম আলাউদ্দিন সাঁপুই

.আলাউদ্দিন সাঁপুই মন্দিরবাজারের টেকপাঁজা গ্রামের বাসিন্দা

.আলাউদ্দিন সাঁপুই এলাকায় সিপিএম নেতা হিসাবে পরিচিত

অন্যদিকে, খুনের আগে যার বাড়িতে ধৃত সাহরুলকে রাখা হয়েছিল চালতাবেড়িয়ার বাসিন্দা মোতালেফও এলাকায় সিপিএম কর্মী হিসেবে পরিচিত। আবার খুনের সময় যে বাইকে চেপে এসেছিল দুষ্কৃতীরা, সেই বাইক মফিজুল রহমান লস্করের নামে আছে। মফিজুলের পরিবারও সিপিএম সমর্থক। ঘটনার পর থেকে সবাই বাড়িছাড়া। তাদের সবার মোবাইল ফোনও বন্ধ। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই খুনের পেছনে সিপিএমের যুক্ত থাকার অভিযোগ তুলছিল। এখন সেই অভিযোগ ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে। যদিও শাসক সিপিএম এখনও তৃণমূলের দলীয় কোন্দল বলে দাবি করে যাচ্ছে। তাদের সমর্থকদের বাড়ি পুড়িয়ে অন্যদিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। এই রাজনৈতিক চাপানউতরের মাঝে পুলিশ জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে। সুপারি কিলার দিয়েই খুন করা হয়েছিল। খুনের আগে রীতিমতো রেইকি করা হয়। ফলে সবটাই হয়েছিল পরিকল্পনামাফিক। তবে কেন এই খুন? কারণ হিসেবে উঠে আসছে দুটি তথ্য, এলাকায় ক্রমশ প্রভাবশালী হয়ে উঠছিলেন সাইফুদ্দিন লস্কর। এলাকায় একটি জায়গা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। খুনে সেটিও কারণও হতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। বাকি আততায়ীদের ধরতে বারুইপুর, জয়নগর, কুলতলি এলাকার পাশাপাশি ডায়মন্ডহারবার, মন্দিরবাজার ও কলকাতার নানান জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পার্থ ঘোষ, এসডিপিও অতীশ বিশ্বাস আছেন তদন্তে। আশপাশের কয়েকটি থানাকে তদন্তে যুক্ত করা হয়েছে।

Related Articles