রাজ্যের খবর

বারুই পুরের পেয়ারার জিআই তকমা, বাজার মেলার আশায় কৃষকরা

BaruiPur Guava

The Truth of Bengal: রসগোল্লা, তুলাইপাঞ্জি চাল তো ছিলই, তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মাদুরকাঠি, মুখোশ, ডোকরা, টেরাকোটা-সহ নয়টি পণ্য।এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বারুইপুরের পেয়ারা।  বিশ্ববাজারে বিপণনে জিআই, জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন মার্কের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। জিআই তকমা পেলে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও বটে।বলা যায়,বারুইপুরের পেয়ারার স্বাদ অতুলনীয়। বারুইপুরের আনাচে-কানাচে ঘুরলেই গাছভর্তি পেয়ারা দেখা যায়। আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, কলা থেকে শুরু করে সব ধরনের ফলের গাছ মেলে এই প্রান্তিক তল্লাটে। তবে সবার সেরা পেয়ারা। বারুইপুরের পেয়ারার স্বাদ-গন্ধ এক কথায় অতুলনীয়।

পুষ্টিগুণে ভরপুর পেয়ারা স্থানীয় এলাকায় বিক্রি তো হয়ই, কাকভোরে বারুইপুরের পেয়ারা ছোট-বড় গাড়িভর্তি হয়ে পাড়ি দেয় শহর কলকাতার উদ্দেশে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বারুইপুর-সহ আশেপাশের এলাকার হাজার-হাজার পরিবার এই পেয়ারার কারবারের সঙ্গে যুক্ত। পেয়ারাই এঁদের রুজি-রুটি।এখন এই পেয়ারা জিআই তকমা পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। কারণ তাঁরা মনে করছেন,পিয়ারা বাজার এতে আরও চাঙ্গা হবে। ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে এই জিআই তকমা পাওয়ার ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে থাকে বাংলা।আগামীদিনে বাংলার সম্পদের বিশ্বজয় আরও সুবিধাজনক হবে বলে বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। আপেলের সমান পুষ্টিগুণ রয়েছে পেয়ারায়।

অথচ, বাজারে পেয়ারার দাম আপেলের ধারেকাছেও নয়। তার উপরে সারা বছর প্রচুর পরিমাণে পেয়ারা পাওয়া যায়। ঠিক মতো বিপণন হলে এর চাহিদাআরও  বাড়বে।মনে করছেন বিধায়কও। পিয়ারাকে কেন্দ্র করে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের প্রসার হতে পারে।খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প আগামীদিনে গড়ে উঠলে এখানকার লিচু,পিয়ারা, আলাদা গুরুত্ব পাবে।প্রশাসনিক তত্পরতার মাঝে কৃষকসমাজের উত্পাদন বৃদ্ধির প্রতি নজর দেওয়ায় ফলনও বাড়ছে।এখন এই পিয়ারা ব্রান্ড হয়ে উঠলে বিশ্বজুড়ে তার বাজার যে চাঙ্গা হবে তাও লক্ষ্যণীয়। বাবলু প্রামাণিকের রিপোর্ট।

Related Articles