রোজার আগেই বাজারে আগুন, ফল কিনতে গিয়ে হাতে ছ্যাকা রমজানীদের
Fire in the market before fasting, Ramzanis were injured while buying fruits

The Truth Of Bengal: দেবাশীষ গুছাইত, হাওড়া: মঙ্গল বার থেকে এই বছরের রমজান মাস চালু হতে চলেছে। তার ঠিক আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই ফলের দামে আগুন লেগেছে। স্বভাবতই রমজানের এই বিশেষ পর্বের আগেই ফলের দামে জল ঝরছে ক্রেতাদের চোখ থেকে। ফলের দামে হাতে ছ্যাকা খাচ্ছে ক্রেতারা। এই বছরে বড় আরতদারদের থেকে পরিবহনের গাড়ির যোগান কম থাকার দরুন দাম বাড়ছে হুহু করে। আর এর জেরে বাজারে ফলের দাম বেশি। আর তাতেই রমজানকারী ক্রেতাদের হাতে ছ্যাকা লাগছে ফলের দামে। অগত্যা কোপ পড়ছে ফল ক্রেতাদের বাজেটে। মার্চ মাসের ১২ তারিখ মঙ্গলবার থেকেই শুরু হচ্ছে রমজান মাস তাই বাজারে বেড়েছে ফলের দাম। হাওড়ার ধুলাগড় এলাকার পাইকারি ফল বাজার বেশ চড়া। আর সোমবার সন্ধ্যা থেকেই সেই ফল বাজারে ক্রমশই ভীড় বাড়ছে। হালিশহর উত্তরপাড়া থেকে ধুলাগড় পাইকারি ফলের বাজারে এসেছেন আব্দুল মাসুদ শেখ। তিনেক বলেন,’ এবছর ফলের দাম অনেক বেড়েছে। আমি প্রতি বছর খুচরো বিক্রির জন্য এখান থেকে ফল কিনছি। এত দাম ছিল না। এই বছর অপ্রত্যাশিত ফলের দাম খুবই চড়া। তরমুজের দাম ৫০টাকা, যা খুচরো বাজের ৬০-৭০ টাকা দামে বিক্রি করতে হবে। রমজানের জন্যই দাম বেড়েছে বলেই মনে হচ্ছে।
হাওড়ার কোরোলা থেকে প্রথম রোজার দিনে ইফতারের জন্য ফল কিনতে এসেছেন আব্দুল লস্কর। তিনি বলেন,’ ফলের যা দাম হাত দেওয়া যাচ্ছে না। সবকিছুর মারাত্মক দাম। গরিব নিম্ন-মধ্যবিত্তদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। এটা সরকারের দেখা উচিত যাতে সকলের নাগালের মধ্যে এই সময়ে ফলের দাম থাকে।’
বিক্রেতা সকলেই স্বীকার করছেন ফলের দাম এখন বেশি। চড়া দামেই তাদেরকেও কিনতে হচ্ছে ফল। যদিও ফলের দাম আরও বাড়বে বলেই দাবি বিক্রেতাদের। অতএব উৎসবের মরশুমে মনের মত ফল কিনতে গেলে বেশ ভাল মতই বেগ পেতে হবে রমজান মাসে সহ গৃহীদের।
FREE ACCESS