অন্নদাতাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, কৃষকবন্ধু – শস্য বীমার মিলছে সুফল
Farmers - Benefits of Crop Insurance

The Truth Of Bengal : কৃষিই হল বাংলার অর্থনীতির চালিকাশক্তি। গ্রামবাংলার অর্থনৈতিক স্বাধীনতা লাভের জন্য মাঠ খেকে বাজার, সর্বত্র কাজ চলছে। এমনকি খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের রসদ কৃষি থেকে নেওয়ার ভাবনা এখন বলা যায়, আরও এক সবুজ বিপ্লবের সন্ধিক্ষণ তৈরি করছে। বাজেট থেকে বিধানসভার আলোচনায় বারবার একথা তুলে ধরেছেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বা কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ১২বছর ধরে লাগাতার সেচ,উন্নত বীজ আর কৃষকের নগদ সাহায্য জাতীয় স্তরে বাংলার কৃষিকে উন্নতির সোপানে ঠাঁই করে দিয়েছে।কৃষি উত্পাদন প্রায় ৩গুণ বেড়েছে। একাধিকবার এই রাজ্য কৃষি কর্মণ পুরস্কার জয়লাভ করে কৃষিতে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। ২০২৩-২৪ সালে কৃষকবন্ধু প্রকল্পে খারিফ শস্যের মরশুমে
- ১০১ লক্ষেরও বেশি কৃষককে সাহায্য প্রদান
- রবি মরসুমেও কৃষকবন্ধু প্রকল্পে
- প্রদান করা হয়েছে ২,৭৭২কোটি টাকা
- ২০১৯-র পর থেকে নথিভুক্ত কৃষকদের
- ১৮,১৪৭ কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হয়েছে
শুধু কৃষকদের নগদ সাহায্যের পরিমাণ বাড়ানোই নয়,টিকে থাকার লড়াইতেও নানা রসদ জোগাচ্ছে রাজ্য সরকার।কোনও কারণে যদি,১ ৮ থেকে ৬০বছর বয়সি কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে তাঁর পরিবারের হাতে এককালীন ২লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ৫৫৪.২৬কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে,৫৫৪.২৬কোটি টাকা, ২৭,৭১৩কৃষকের পরিবারকে এই আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে ।প্রকল্পের সূচনাপর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত ১.০১,৪৫৭ মৃত কৃষকের পরিবারের আইনি উত্তরাধিকারীকে প্রায় ২,০২৯কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।এখানেই শেষ নয়,কৃষকবন্ধু বার্ধক্যজনিত পেনশন প্রকল্পেও সুবিধা পাচ্ছেন অন্নদাতারা। কৃষকবন্ধু বার্ধক্যজনিত পেনশন প্রকল্পের অধীনে ৭৬,০৪৯ সুবিধাপ্রাপক জয়বাংলা প্রকল্পে ১হাজার টাকা পেনশনও পান।
শুধু নগদ সাহায্যই নয়,দুর্গোগে যখন কৃষকের ফসল মাঠে মারা যায় তখনও বাংলার সরকার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে।এই বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পে ২০২৩-২৪ খরিফ মরসুমে ৭০লক্ষ কৃষক ২৪৭ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ পেয়েছে। শুধু বীমাই নয়,কৃষি যান্ত্রিকীকরণে সচেষ্ট হয়েছে।২০২৩-২৩ অর্থবর্ষে ৫৯.৫৪কোটি টাকা ব্যয় করে প্রায় ১৪হাজার কৃষককে দেওয়া হয়েছে কৃষি যন্ত্রপাতি।
FREE ACCESS