দোল উৎসব আজও পালিত হয় রাজার চালু করা নিয়মে, কোন নিয়মে পালিত হয় দোল জানেন?
Dol Utsav is still celebrated today according to the rules introduced by the king

The Truth of Bengal: গোটা রাজ্যজুড়ে যেদিন দোল উৎসব পালিত হয় তার ঠিক পরের দিন রং খেলায় মেতে ওঠেন বর্ধমান শহরবাসী। বর্ধমানের রাজার আমল থেকেই এই রীতি মেনেই দোল খেলা হয়ে আসছে। নেপথ্যে আছে রাজা মহতাব চাঁদের এক অন্যরকম এক ভাবনা। তাঁর বিশ্বাস ছিল, দেবতা আর মানুষ একসঙ্গে দোল খেলতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য একদিন পর দোল খেলার প্রথা চালু করেন তিনি। সেই প্রথা আজও চলে আসছে বর্ধমানে। বিপুল ঐশ্বর্যের অধিকারী ঋতুরাজ বসন্ত।
পলাশের রঙে রাঙিয়ে আসে বসন্ত। বসন্তের আগমনে তাই পুলকিত বন-বনান্ত, কাননে কাননে পারিজাতের রঙের কোলাহলে ভরে ওঠে চারদিক। আর এই আগুন লাগা ফাগুনেই মন হয়ে ওঠে আনমনা। প্রকৃতিতে লাগে প্রেমের পরশ আর রঙের ছোঁয়া। তাই সবার ভালবাসা ও ভাললাগার বসন্ত ঋতুতে দোল উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠবে আট থেকে আশি। আবির কন্তে ভিড় জমাচ্ছে সবাই।সোমবার দোল। এদিন বাঙালি একে অপরকে রাঙিয়ে দেবে আবিরে।
গোটা রাজ্যজুড়ে যেদিন দোল উৎসব পালিত হয় তার ঠিক পরের দিন রং খেলায় মেতে ওঠেন বর্ধমান শহরবাসী। বর্ধমানের রাজার আমল থেকেই এই রীতি মেনেই দোল খেলা হয়ে আসছে। রাজবাড়ির কূলদেবতা লক্ষীনারায়ণ জিও মন্দিরে এই দোল পূর্ণিমার দিনেই পুজো-অর্চনা ও দোল উৎসব পালিত হয়। দোল পূর্ণিমার পরের দিন দোল খেলা হয় বর্ধমান শহরে। কিন্তু, কেন এমন প্রথা? এর নেপথে রয়েছে রাজা মহতাব চাঁদের এক অন্যরকম এক ভাবনা। তাঁর বিশ্বাস ছিল, দেবতা আর মানুষ একসঙ্গে দোল খেলতে পারে না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য একদিন পর দোল খেলার প্রথা চালু করেন তিনি। রাজার চালু করে সেই নিয়ম মেনে আজও দোল খেলে আসছে বর্ধমানের মানুষ।