রাজ্যের খবর

ডেঙ্গির প্রকোপে পুজোর আগে কোমর বেঁধে নামছে পুরপ্রশাসন

Dengue

The Truth of Bengal: ডেঙ্গির প্রকোপ রাজ্যজুড়ে বাড়ছে। শহরেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। সংখ্যাটা ৪০ছাড়িয়েছে।আর যাতে না বাড়ে সেজন্য এবার পুজোর আগে কোমর বেঁধে নামছে পুরপ্রশাসন। রীতিমতো পথে নেমে মশার আঁতুরঘরে পৌঁছে যাওয়া থেকে সরকারি ভবনে নজরদারি সবই চলছে।এবার মশার বংশবিস্তার রুখতে পুজোকমিটিগুলোকে চিঠি দিল পুরসভা।চিঠিতে স্পষ্ট নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে, আকাশমুখী প্যান্ডেলের বাঁশের ডগায় বালি বা অন্য কিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে।মণ্ডপকে  কোনওরকমভাবে অপরিচ্ছন্ন রাখা যাবে না।উত্সব প্রাঙ্গনকে স্বচ্ছতায় ভরিয়ে রাখার পাশাপাশি প্রচারও জোরদার করা হচ্ছে।  বৃহস্পতিবার থেকে ডেপুটি মেয়র নিজেই পরিদর্শনে যাবেন। ৯২ নম্বর ওয়ার্ডের অধীন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখবেন অতীন ঘোষ। সেখানে কোথাও জল জমে আছে কি না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে কোথাও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখবেন তিনি। তারপর ওই ওয়ার্ডেই একটি পরিত্যক্ত ফ্যাক্টরিতে ড্রোন উড়িয়ে সেখানকার পরিবেশ খতিয়ে দেখার কথা ডেপুটি মেয়রের। শুক্রবার উত্তর কলকাতার বর্ণপরিচয় বাজারের পরিবেশ খতিয়ে দেখার কর্মসূচিও রয়েছে তাঁর। এরপাশাপাশি   সম্প্রতি  ওয়ার্ডগুলি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, মশার লার্ভা নিধনে কাউন্সিলরও আধিকারিকদের আরও তত্পর হওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছ।মেয়র ফিরহাদ হাকিম,কেন্দ্রীয় সরকারি অফিস চত্বরে জমাজলের সমস্যা মেটাতে সক্রিয় করার চেষ্টা চলছে।উৎসবের মরসুম যাতে ডেঙ্গি- ম্যালেরিয়া দাপট দেখাতে না পারে সেই কারণেই মেয়র-ডেপুটি মেয়র সহ   পুর প্রশাসনের কর্তারা রোগের দাপট কমাতে সর্বাত্মক প্রচারেও নামছেন।নবান্ন থেকেও ডেঙ্গি মোকাবিলায় নবান্নে বৈঠক করেন রাজ্য়ের স্বরাষ্ট্রসচিব।

তিনি বলেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ডেঙ্গি প্রকোপ বেশি। জল যাতে না জমে এবং এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দিকে নজর দিতে বলেছি’। সঙ্গে পরামর্শ, ডেঙ্গি হলে শুধুমাত্র প্য়ারাসিটামল খান। পেন কিলার খাবেন না। কো-মর্ডিবিটি থাকলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করুন’।এর আগে, চলতি বছরে বর্ষা শুরুতে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ বেড়েছিল প্রশাসনের। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টা ফিভার ক্লিনিক চালু, হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড-প্লেটলেটের ব্যবস্থা ও রোগীদের ঠিকানা নথিভুক্ত করা-সহ একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছিল স্বাস্থ্য দফতর।  অতীন ঘোষ:  ভিডিও কনফারেন্সে মাধ্যমে ভেক্টর কন্ট্রোল ইনচার্জ এবং বোরো সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। বোরো তে কোন কোন জায়গায় সরকারি বা বেসরকারি জায়গায় রয়েছে। যেখানে ডেঙ্গু মাশা রয়েছে সেটা চিহ্নিত করতে বলা হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিজ্ঞান ভিত্তিক কাজ হচ্ছে যে ডেঙ্গু হলেই সেই বাড়ি চিহ্নিত করে ভেক্টর কন্ট্রোল কর্মীরা যাতে দ্রুত পৌঁছে যায়। আমাদের নির্দেশ আছে যে ডাটা ব্যাংক অনুযায়ী লোকের কাজে যেত। এখন আমরা বলছি কেস ভিত্তিক কাজ করতে হবে। যাতে ডেঙ্গু মাশা কে নষ্ট করা যায়। আগামীকাল কাবারদাঙা যাব এবং ড্রোন চালিয়ে আমরা খুঁটিয়ে দেখবো কোথায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রয়েছে। কলকাতা ৬ নম্বর ওয়ার্ড বোরো দশ কিছুটা বেড়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যে যেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ছে সেখানে পৌঁছে যাব।

ডেঙ্গু মুক্ত সেদিনই সম্ভব যে দিন মানুষ সম্পূর্ন ভাবে সচেতন হবেন। ২৭০০ ছিল ৬ তারিক পর্যন্ত গত বছর ছিল ২৫০০ সংখ্যা ছিল ডেঙ্গু আক্রান্ত। কলকাতা পৌর সংস্থা একমাত্র সকল থেকে পৃতেকটি ওয়ার্ডে খুঁটিয়ে দেখে তার রিপোর্ট অনলাইনে আপডেট করা হয় বলে জানালেন ডেপুটি মেয়র ও মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ অতীন ঘোষ। রক্ত নমুনা একমাত্র কলকাতা পৌর সংস্থার রয়েছে। যেটা কোনো শাহরে এই রক্তনুমনা সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নেই বলে দাবি করলেন অতীন ঘোষ। ডেঙ্গু এবং মালরিয়া ক্ষেত্রে নোটিফাই রোগ ঘোষণা করার দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানান তিনি। তার দাবি যত টেস্ট হবে ততই ডেঙ্গু আক্রান্ত সংখ্যা বাড়বে। এই বছর আমরা অনেক বেশি ডেঙ্গু টেস্ট করছি। ফলে সংখ্যা বেশি হচ্ছে সেটাই স্বাভাবিক। আমদের পৌর সংস্থা আমরা সেইসব জায়গায় পরিষ্কার করে দিচ্ছি। তাদের কে ৪৯৬ ধারায় নোটিশ করা হচ্ছে। আমরা কলকাতা পৌর সংস্থা পুজোর সময় সমস্ত স্বাস্থ্য কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানান অতীন ঘোষ। তিনি জানান যে পূজো কমিটি কে চিঠি করা হয়েছে। যাতে বাঁশের  কথামো তে কোনো রকম জল না জমে থাকে সেটা দেখতে হবে। তার জন্য পূজো কমিটি গুলিকে কড়া নজরদারি চালনার জন্য আবেদন জানিয়েছেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ অতীন ঘোষ। পুজোর মাসে সমস্ত দিনেই কলকাতা পৌর সংস্থার ফিল্ড ওয়ারকরের দের ছুটি বাতিল থাকছে বলে জানলেন অতীন ঘোষ। এদিন তিনি স্বাস্থ্য আধিকারিক সহ বোরো এবং ভেক্টর কন্ট্রোল সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এদিন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন মেয়র পরিষদ স্বাস্থ্য বিভাগ অতীন ঘোষ।

Related Articles