
The Truth of Bengal: শহরের অলিগলিতে যতই কফি শপ খুলুক না কেন, কলেজ স্ট্রিটের কফি হাউস বাঙালির কাছে এক এবং অদ্বিতীয়। কফি হাউস বইপাড়ার মাঝে দাঁড়িয়ে থাকা এক ইতিহাস। সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন, অমর্ত্য সেন, মান্না দে— কফি হাউসের আড্ডার সাক্ষী হয়ে থেকেছেন সকলেই। এই ঐতিহাসিক কফি হাউসের প্রত্যেকটি টেবিল অনেক বিপ্লবের নীরব সাক্ষী। ১৬ জন কর্মচারীকে কফি বোর্ড থেকে ছাঁটাই করা হয় ১৯৫৭ সালে। এই ১৬ জন কর্মচারীর হাত ধরেই সূচনা হয় ইন্ডিয়ান কফি হাউসের। নিছক আড্ডার স্থান নয়, কফি হাউস আদতে বাঙালির মননের চারণভূমি। এবার সেই ইন্ডিয়ান কফি হাউস খুলছে দিঘার জাহাজবাড়িতে।
আড়াই হাজার স্কোয়ার ফিটের আধুনিক ১২০ সিটের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কফি হাউসে পাওয়া যাবে নানা খাবার। আড্ডার আসর জমবে মান্না দে-র গানের সঙ্গে। দার্জিলিঙের পরে এ বার দিঘার সমুদ্রসৈকতে ঢেউ গুনতে গুনতে কফি হাউসের কফির কাপে চুমুক দিতে পারবেন পর্যটকেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘা সফরে কফি হাউস তৈরির প্রস্তাব অনুমোদন করেছিলেন। ষষ্ঠীর দিন কফি হাউসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হবে। উপস্থিত থাকবেন জেলাশাসক সহ প্রশাসনের কর্তারা।
পুজোর সময় দিঘার কফি হাউসে বসবে লোকসঙ্গীতের আসর।উদ্বোধনের দিন পর্যটকদের জন্য থাকছে কুড়ি শতাংশ ছাড়। নতুন দিঘায় জাহাজবাড়ির আদলে গড়ে ওঠা বাড়িই হচ্ছে ইন্ডিয়ান কফি হাউসের নতুন শাখার ঠিকানা। তবে কেবল স্ন্যাকস নয়, মেন কোর্সের মেনুতেও থাকছে একাধিক খাবার। বিভিন্ন ধরনের খাবারের স্বাদ নিতে পর্যটকরা এই জাহাজবাড়িতে ভিড় করবেন বলে আশা প্রশাসনের।
Free Access