Chapra: কলেজের অধ্যক্ষকে বেধড়ক মার! আতঙ্কে চাকরি ছাড়তে চাইছেন ওই অধ্যক্ষ
Truth of Bengal: মাধব দেবনাথ,নদিয়া: এক ব্যক্তির হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর নিরাপত্তাহীনতায় চাকরি ছাড়তে চাইছেন অধ্যক্ষ। ঘটনা চাপড়ার গভর্নমেন্ট জেনারেল ডিগ্রি কলেজের (Chapra)। আক্রান্ত ঐ অধ্যক্ষের নাম শুভাশিস পান্ডে। ২০২১ সালে তিনি চাপরা কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি মূলত কীটপতঙ্গ রক্ষা করার গবেষক হিসেবে কাজ করেন। পাশাপাশি পরিবেশ কর্মী হিসেবে গোটা দেশ জুড়ে কাজ করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুনঃ Mamata Banerjee-Amit Shah: সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অমিত শাহকে চিঠি মুখ্যমন্ত্রীর]
প্রায় পাঁচ বছর ধরে চাপড়াতে কর্মরত ছিলেন। মূলত ওই এলাকাতেও যাতে সমাজে কীটপতঙ্গ অবলুপ্তি না হয় সেই কাজও করে আসছিলেন তিনি। চাপড়া এলাকাতে দীর্ঘদিন ধরেই দেখা যায় যে সমস্ত সরকারি জায়গায় ঝড় জঙ্গল হয়েছিল সেগুলো পরিষ্কার করে জবরদখল হচ্ছিল। যার ফলে সেই প্রভাব কীটপতঙ্গের উপর পড়ছিল। মূলত সেই কারণে তিনি মানুষকে সচেতন করতে বিভিন্ন জায়গায় সচেতনতামূলক বোর্ড লাগিয়েছিলেন। কিন্তু দেখা যায় কিছু সাধারণ মানুষ সেই বোর্ডগুলো ভেঙে ফেলে।(Chapra)
[লিঙ্কঃ https://www.facebook.com/truthofbengal]
মূলত তিনি ওই ভাঙ্গা বোর্ডের একটি মেরামত করতে গিয়েছিলেন নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে। সেখানেই ওই অভিযুক্ত হঠাৎ তাকে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেন কার অনুমতি নিয়ে তিনি এই বোর্ড লাগিয়েছিলেন। সেই নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরপরেই আচমকা ওই অভিযুক্ত বেধড়ক মারধর করতে থাকে ওই কলেজ অধ্যক্ষকে। অভিযুক্তর নাম অজয় ঘোষ। অভিযুক্ত অজয় ঘোষের ভাই চাপরা হাটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। এরপরই আক্রান্ত ওই অধ্যক্ষ কে চিকিৎসার জন্য চাপরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অধ্যক্ষ শুভাশিস পান্ডে অভিযুক্তর বিরুদ্ধে চাপড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কার্যত তিনি কেঁদে ফেলেন।
চরম আতংকের সঙ্গে তিনি বলেন আমাকে যেভাবে মারধর করা হয়েছে, আমি এই কলেজে কিছুতেই আর কাজ করতে চাই না। হয় দপ্তর আমাকে অন্য কলেজে বদলি করে দিক না হলে আমি নিজেই সরকারি চাকরি ছেড়ে দেব। অন্যদিকে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এই ঘটনায় এখনো অভিযুক্ত






