রাজ্যের খবর

মাছ ধরতে গিয়ে পুকুর থেকে উদ্ধার হল প্রাচীন ধাতব দুর্গা মূর্তি

তিনি মূর্তিটিকে শ্রদ্ধাভরে নিজের পারিবারিক দুর্গা মন্দিরে স্থাপন করে পুজোর আয়োজন শুরু করেন।

Truth Of Bengal: কৈলাস বিশ্বাস, বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে উদ্ধার হল প্রাচীন ধাতব দুর্গা মূর্তি। আর সেই মূর্তির মালিকানা নিয়েই শুরু হল চূড়ান্ত বিতণ্ডা। একদিকে পুকুর মালিকপক্ষ, অন্যদিকে মাছ চাষিরা— দুই পক্ষের দাবিদাওয়ায়  সকাল থেকেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় বাঁকুড়া শহরের দোলতলা ও লাগোয়া বিকনা গ্রামে।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে বিকনা গ্রামের একটি পুকুরে মাছ ধরার কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎ মাছ চাষিদের জালে উঠে আসে একটি প্রাচীন ধাতব দুর্গা মূর্তি। ঘটনাটি ঘটতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জগদ্ধাত্রী পুজোর দিনেই এমন এক দেবীমূর্তি উদ্ধার হওয়ায় তা নিয়ে আসে মাছচাষি সন্দীপ কর্মকার, যিনি পেশায় স্থানীয় মাছচাষি।

তিনি মূর্তিটিকে শ্রদ্ধাভরে নিজের পারিবারিক দুর্গা মন্দিরে স্থাপন করে পুজোর আয়োজন শুরু করেন। এরপর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিকনা গ্রামের পুকুর মালিকপক্ষ হাজির হন সন্দীপ কর্মকারের দোলতলার বাড়িতে। তাঁরা দাবি করেন, ওই পুকুর তাঁদের মালিকানাধীন, তাই মূর্তির অধিকারও তাঁদেরই। এই দাবি ঘিরেই শুরু হয় তীব্র বচসা ও ধাক্কাধাক্কি দুই পক্ষের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত পুকুর মালিকেরা মূর্তিটি নিজেদের দখলে নিয়ে বিকনা গ্রামে ফেরত যান।

অন্যদিকে মাছচাষি সন্দীপ কর্মকারের অভিযোগ, যেহেতু আমার জালে মূর্তিটি উঠেছে, সেটির অধিকার আমারই। পুকুর মালিকেরা জোর করে তা নিয়ে গিয়েছেন।প্রতিবাদে পুকুর মালিকপক্ষের বক্তব্য, ওই পুকুর থেকে আগেও একটি দেবীমূর্তি উদ্ধার হয়েছিল, যা আমাদের কাছেই আছে। পুকুরটি যেহেতু আমাদের জমির অন্তর্গত, তাই সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া সব জিনিসের মালিকানা আমাদেরই। ঘটনাকে ঘিরে দোলতলা ও বিকনা গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মূর্তির প্রকৃত মালিকানা নির্ধারণ করা হোক। আপাতত মূর্তিটি কার দখলে রয়েছে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে বাঁকুড়ায়।

Related Articles