শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে শ্রাবণী মেলার আগে এলাকা পরিদর্শনে প্রশাসনিক কর্তারা
Administrative officers inspecting the area ahead of Shravani Mela at Shaivatirtha Tarakeswar

The Truth Of Bengal : তরুণ মুখোপাধ্যায় : হুগলি : শৈবতীর্থ তারকেশ্বরে বাবা তারকনাথের সবথেকে বড় উৎসব হচ্ছে শ্রাবণী মেলা। আগামী ১৭ তারিখ থেকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এক মাস ব্যাপী শ্রাবণী মেলা উৎসব। পুরো শ্রাবণ মাস ধরে হুগলির বৈদ্যবাটির নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পূর্ণার্থী গঙ্গা থেকে জল তুলে তারকেশ্বরে যান বাবা তারকনাথের মাথায় জল ঢেলে আশীর্বাদ প্রার্থনা করতে। এত বড় উৎসব এত মানুষের সমাগম তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের সুব্যবস্থা।
বুধবার দুপুরে শ্রাবণী মেলার প্রস্তুতি পর্ব দেখতে শেওড়াফুলি এবং বৈদ্যবাটির একাধিক ঘাট ঘুরে দেখলেন চাপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন ,বৈদ্যবাটি পৌরসভার পুর প্রধান পিন্টু মাহাতো, শ্রীরামপুরের মহকুমা শাসক সম্ভু দীপ সরকার, শ্রীরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, শেওড়াফুলি জিআরপির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, পূর্ত দপ্তরের আধিকারিক জিজ্ঞাসার ম্যানেজমেন্ট এবং দমকল বিভাগের আধিকারিকরা। প্রতিবছর শ্রাবণী মালাকে কেন্দ্র করে শেওড়াফুলির নিমাই তীর্থ ঘাট এবং সংলগ্ন ঘাটের আশপাশ জুড়ে প্রচুর দোকানপাট এবং মেলা বসে। এবছর যাতে সুশৃংখলভাবে শ্রাবণী মেলা অনুষ্ঠিত হয় তা খতিয়ে দেখতে এদিনের প্রশাসনিক তৎপরতা। এ ব্যাপারে বলতে গিয়ে চাঁপদানির বিধায়ক অরিন্দম গুইন জানান, “প্রতিবছর এখান থেকে প্রায় ১৫ থেকে ১৬ লক্ষ মানুষ তারকেশ্বরে যান বাবা তারকনাথের দর্শন এবং কৃপা লাভের আশায়। বৈদ্যবাটির নিমাই তীর্থ, ঘাট সহ অন্যান্য ঘাট থেকে জল যাত্রীরা জল তোলেন। প্রতিদিন এত মানুষের আনাগোনা, যার জন্য মূলত এখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থার বিষয়টার উপর বেশি জোর দিই যাতে আগত জল যাত্রীদের কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেই ব্যাপারে আমরা লক্ষ্য রাখি। শুধু তাই নয় এখানকার যে রাস্তাগুলো দিয়ে জল নিয়ে যাবে তার দুপাশে ব্যারিকেড করা থেকে শুরু করে পর্যাপ্ত আলো এবং পানীয় জল যাতে থাকে তার জন্য ২৪ ঘন্টা লক্ষ্য রাখা হয়। এছাড়াও যাতে জল তুলতে গিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে বিশেষ করে খরস্রোতা গঙ্গা সেইখানে জল তুলতে গিয়ে যাতে কারো কোন দুর্ঘটনা না ঘটে সেই ব্যাপারটা আমরা সব থেকে বেশি নজর দিই। এই সমস্ত বিষয়গুলি যাতে সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য আজকে প্রশাসনের সমস্ত স্তরের আধিকারিকদের নিয়ে আমরা ঘুরে দেখলাম।”
অন্যদিকে বৈদ্যবাটির পুরসভার চেয়ারম্যান পিন্টু মাহাতো জানান, “শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গ নয় পশ্চিমবঙ্গের বাইরের অন্যান্য রাজ্য এমনকি বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর বহু পুর্নার্থী মানুষ আসেন তারকেশ্বরে বাবা তারকনাথের দর্শনের আশায়, এবং তারা এই নিমাই তীর্থ ঘাট থেকে জল তোলেন। গঙ্গাসাগর মেলার পর এত বড় মেলা এ রাজ্যে হয় না। যার জন্য আমাদের বৈদ্যবাটি পুরসভার পক্ষ থেকে সমস্ত রকম ব্যবস্থা প্রতি বছর নেওয়া হয় যাতে যাত্রীদের সুখ সচ্ছন্দ বজায় থাকে, যাতে তারা নিরাপদে এখান থেকে জল নিয়ে যেতে পারেন এবং যাতে গঙ্গায় কোনরকম দুর্ঘটনা না ঘটে তার জন্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট সহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী এবং ভলেন্টিয়াররা দক্ষ সুইমাররা মেলার দিনগুলিতে সজাগ থাকেন। এছাড়াও এখানকার গঙ্গার ধারে প্রচুর দোকানীরাও বসেন, বাঁক, ঘট ফুলমালা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে তাদের স্বাছন্দের ব্যাপারটাও পুরসভার পক্ষ থেকে দেখা হয়।”