খনি শিল্পের জন্য জমিদাতাদের আরও ১৮ জনকে চাকরি দিল প্রশাসন
Administration provides jobs to 18 more landowners for mining industry

Truth Of Bengal: দেউচা পাঁচামি খনি শিল্পের জন্য জমিদাতা আরও ১৮ জনকে চাকরি দিল প্রশাসন। স্বপ্নপূরণ হল বেকার যুবক-যুবতীদের। জেলা শাসক বিধান রায় সরকারি দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরে পুর্নবাসনে জোর দেন। প্রশাসন কথা দিয়ে কথা রাখায় জমিদাতা পরিবারগুলো বেশ খুশি। জীবনযাত্রার মাণোন্নয়ন হওয়ায় তাঁরা শিল্পগড়ার পক্ষে সওয়াল করছেন।
এ যেন স্বপ্ন ছোঁয়ার আনন্দ। হাতে যখন চাকরির নিয়োগপত্র ওঁরা হাতে পান, তখন মুখে হাসি আর বুকে বল মেলে।১৮ জনই মনে করছেন, তাঁদের জীবনে নতুন সিঁড়িতে পা রাখলেন তাঁরা। প্রশাসন কথা দিয়ে কথা রাখায় দেউচা পাঁচামির মানুষেরা এখন বুঝতে পারছেন, বাম আমলে সিঙ্গুরে যা হয়নি, নন্দীগ্রামে যা হয়নি, তা করে দেখাতে আন্তরিক বর্তমান সরকার। বামেদের পথে না হেঁটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দেউচা কয়লা খনি গড়ার কাজকে মসৃণ করতে প্রথমেই পুনর্বাসনের কাজে জোর দেন। ১০হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন প্যাকেজ কার্যকর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দেউচা পাচামিতে ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব রয়েছে।যারফলে এই বীরভূমের শিল্প মানচিত্রে নয়া সংযোজন দেখা যাচ্ছে। রাজ্যের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি পরিচালনার জন্য এতদিন ৮০ শতাংশ কয়লা ভিন রাজ্য থেকে আমদানি করা হত। কিন্তু আগামীদিনে কয়লা উৎপাদনের ক্ষেত্রে রাজ্য পুরোপুরি স্বনির্ভর হয়ে উঠবে। রাজ্যের কয়লা খনিগুলি থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে কয়লা জোগানো সম্ভব হবে। শুধু তাই নয়, বাৎসরিক আনুমানিক ৩৫ মেট্রিক টন উদ্বৃত্ত কয়লা অন্য রাজ্যে রফতানি করা যাবে। এই ভোলবদলের মাঝে চাকরিদাতাদের চাকরি দেওয়ার কাজ করছে প্রশাসন, কথামতো।
আগে কখনও তাঁরা ভাবেননি,এভাবে বদলে যাবে জীবনের গতিপথ,খুঁজে পাবেন উন্নয়নের সিঁড়ি।সেই এগিয়ে চলার সোপান বর্তমান প্রশাসন তৈরি করে দেওয়ায় স্থানীয়রা বলছেন,শিল্প গড়েই দেউচাপাঁচামির রূপ বদলাতে হবে। বিরোধীদের বিরোধিতাকেও তাঁরা আর তোয়াক্কা করতে নারাজ।
সবকিছু ছেড়ে শিল্পায়নের গতি আনার পক্ষেই মত প্রকাশ করছেন পিছিয়ে পড়া এই এলাকার এগিয়ে চলার স্বপ্নে বুঁদ যুবসমাজ। এই শিল্পের হাত ধরে আর্থ-সামাজিক মাণোন্নয়নের সুযোগ করে দেওয়ার যে ভাবনা সরকার নিয়েছে তাকে সমাজের সব অংশের মানুষই সাধুবাদ জানাচ্ছে।