
The Truth of Bengal: ১৭দিন ধরে কঠিন সময় কেটেছে। জীবন নিয়ে চলেছিল দড়ি টানাটানি। সূক্ষ্ণ সুতোয় ঝুলছিল ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের মতোই এই রাজ্যের খেটেখাওয়া মানুষগুলোর জীবন। প্রশ্ন উঠেছিল,সুস্থভাবে ফিরতে পারবেন তো,তাঁরা। কারণ প্রতি পদে ছিল বিপদ। মার্কিন খনন যন্ত্র,অগার মেশিন ভেঙে যাওয়ার পর ভয়টা চেপে বসেছিল,আদৌও মৃত্যুকুপ থেকে ওঁরা ফিরবেন কিনা। তবে যন্ত্র ফেল করলেও হাল ছাড়েনি মানুষ।
মানুষই বাঁচাল মানুষকে। উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একে একে ৪১জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছেন বাংলার ৩সন্তান। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন হুগলির পুরশুড়ার সৌরভ পাখিরা ও জয়দেব প্রামণিকও। টিভিতে সেই দৃশ্য দেখে বুক থেকে পাথর নামে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের। আনন্দ অশ্রুতে গলা ভিজে যাচ্ছে। যেভাবে তাঁদের পুর্নজন্ম হয় তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন। সৌরভ পাখিরার মা বলেন এত দিন কিছুই বুঝতে পারছিলাম না কি হবে।শুধুই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করে যাচ্ছিলাম।
কিন্তু শুধু দিনের পর দিন কাটছিল আর উদ্ধারকাজে বাধা আসছিল। কিন্তু শত চেষ্টায়, সব শেষে অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে ছেলে বেরিয়ে আসতে পারায় এখন নিশ্চিন্ত বোধ করছেন। মেডিক্যাল টেস্টের পর বাংলার ৩ শ্রমিককে ছাড়া হবে। তারপরই তাঁদের উত্তরকাশী থেকে এই রাজ্যে ফিরিয়ে আনার কাজ জোরদার হবে। রাজ্য সরকার তাঁদের জীবন-জীবিকার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে চায় বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন। সবমিলিয়ে বাংলার ছেলেদের বাংলায় ফিরিয়ে আনার জন্য প্রশাসনের চেষ্টার যে কোনও খামতি নেই তা বলাই যায়।