The Truth Of Bengal : ইতিহাসের শহর মুর্শিদাবাদে নতুন করে ইতিহাসের পর্যটনকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে মুকুন্দবাগ অঞ্চলের সতীচৌরাহ মৌজার বাগান পাড়ায় ধ্বংসস্তূপের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, সেটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ বা হিরাঝিল প্রাসাদের ভগ্নাবশেষ। এই জায়গার গুরুত্ব বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হল। পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হবে ৯১ ফুট উচ্চতার মনুমেন্ট। নতুন করে গড়ে উঠবে ইতিহাসের পর্যটন কেন্দ্র। এবছরের হিরাঝিল উৎসবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ভাগীরথী নদীর তীরে এই মনুমেন্ট তৈরি করা হবে ৩০০ মিটার জুড়ে। তিনতলা বিশিষ্ট এই মনুমেন্ট ঘিরে নতুন করে সেজে উঠবে গোটা এলাকা। মনুমেন্ট গড়ার প্রস্তাবনা নেওয়া হল এবছরের হিরাঝিল উৎসবে। উপস্থিত ছিলেন নবাব বংশের ছোটে নবাব রেজা আলি মির্জা। মহকুমা শাসক ডঃ বনমালী রায় জানিয়েছেন, কী ভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, আনুমানিক ১৭৫২ সাল নাগাদ নবাব আলিবর্দী খাঁ তার নাতি সিরাজোদ্দৌলার জন্য মতিঝিল প্রাসাদের অনুকরণে ভাগীরথীর পশ্চিম পাড়ে একটি প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার উপাধি মনসুর-উল-মুলক এর অনুকরণে প্রাসাদের নামকরণ করা হয় মনসুরগঞ্জ প্রাসাদ। প্রাসাদের পাশেই ছিল একটি ঝিল, যেই ঝিলের জল সব সময় হিরের মতো চকচক করতো, আর সেই কারণে লোকমুখে এই স্থানের নাম হয় হিরাঝিল প্রাসাদ। পলাশীর যুদ্ধের পরে এই প্রাসাদ ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে ইতিহাসবিদগণের ধারণা। কয়েক বছর আগে জনসমক্ষে এসেছিল এই হিরাঝিল প্রাসাদ। প্রাসাদের সংরক্ষণের জন্য শুরু হয় আন্দোলন। প্রসাদ সংরক্ষণের দাবিতে তৈরি হয়েছে হিরাঝিল বাঁচাও কমিটি। সেই কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হল হিরাঝিল উৎসব-২০২৪। সেই অনুষ্ঠানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, পর্যটকদের জন্য তৈরি করা হবে ৯১ ফুট উচ্চতার মনুমেন্ট।
FREE ACCESS