বনেই আয়োজন শত গোপালের বনভোজন! ৫৬ ভোগে সরগরম বৈষ্ণবতীর্থ …
Devotees of Gopal celebrate the feast at Shantipur

The Truth Of Bengal: ঠাকুরঘরের চৌহদ্দি ছেড়ে গোপালকে বের করে আনা হয় বনে। সেখানেই বনভোজনের উত্সব করেন গোপালের ভক্তরা। শীতের আমেজ গায়ে মেখে নতুন চাল,গুড়ের পিঠে পায়েস আর কমলালেবু নিবেদন করা হয় গোপালকে। অদ্বৈতের ভক্তদের শত গোপালের বনভজন ঘিরে রীতিমতো বৈষ্ণবতীর্থ সরগরম হয়ে ওঠে।
শীত পড়তেই বনভোজনের চল রয়েছে বাংলাজুড়ে।চিরাচরিত রীতি মেনে শান্তিপুরে এবারও বনভোজন হল।তবে এবারের বনভোজন তুলনায় একটু আলাদা।কারণ এই বনভোজনে থাকেন খোদ গোপাল ঠাকুর।গোপালের বায়না ও আবদার মেটাতে সবরকম খেয়াল রাখেন ভক্তরা।সন্তান ভেবে গোপালকে আদর করে খাওয়ায় ভক্তসমাজ।
বিশেষত গোপাল তাদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ এবং গৃহস্থ বাড়ির সন্তান সম। তাই তার বায়না আবদার সবকিছুই খেয়াল রাখে ভক্তরা। এমনও বহু ভক্তদের বাড়ি আছে যেখানে তারা কোথাও গেলেও সাথে করে নিয়ে যান ধাতব গোপালকে। কখনোই তালা বন্দী অবস্থায় তাকে রাখেন না। শিশু অবস্থায় অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা একান্তই প্রয়োজন । সেই কথা ভেবেই প্রতিবছর শীতকালে শান্তিপুর নৃসিংহপুর মেথির ডাঙ্গা পাম্পের ঘাট কলাবাগানে সমগ্র শান্তিপুরের সীতানাথ অর্থাৎ অদ্বৈত আচার্যের ভক্তবৃন্দ এই আয়োজন করে থাকেন। যেখানে আশেপাশের এলাকার সমস্ত গোপাল সেবাইতরা তাদের গোপালকে নিয়ে উপস্থিত হন বনভোজনে। সংখ্যাটা প্রায় দুই শতাধিকেরও বেশি। সাথে অবশ্যই তাদের সেবাইত এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও আছেন। তাদের সকলের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে অন্ন অর্থাৎ সাদা ভাত, মুগের ডাল, শীতকালীন সবরকম আনাজ দিয়ে একটি তরকারি, পায়েস নতুন গুড়ের রসগোল্লা।
তবে যাদের জন্য মূল আয়োজন অর্থাৎ আরাধ্য দেবতা গোপাল তাদের জন্য থাকছে কমলালেবু সহ শীতকালীন সব রকম ফলমূল, শীতকালীন সকল রবিশস্য এবং আনাজের প্রায় ১৭ টি নানান রকম পদ ,পুষ্পান্ন পরমান্ন সহ পিঠে পায়েস সহ নানা প্রকারের মিষ্টান্ন, সবমিলে ৫৬ ভোগ।ভক্তরা শীতবস্ত্র পরিয়ে গোপালকে সাথে নিয়ে কাটাবেন সারাদিন।উদ্যোক্তারা অবশ্য শুধু ধর্মীয় বিষয় নয় পরিবেশ রক্ষায় নানান রকম সামাজিক বার্তা দিয়েছেন মেলা প্রবেশের মাঠে প্রবেশের প্রধান পথে।
Free Access