খেলা

মনবীর-আপুইয়ার না থাকাটিই মোহনবাগানের হারের কারণ : অলোক মুখোপাধ্যায়

The absence of Manbir and Apuya is the reason for Mohun Bagan's loss: Alok Mukherjee

Truth Of Bengal: বৃহস্পতিবার জামশেদপুরের বিপক্ষে আইএসএল-র প্রথম সেমিফাইনাল খেলতে নেমেছিল মোলিনার মোহনবাগান। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ২-১ গোলে হারতেও হয় মোহনবাগানকে। সেই ম্যাচের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে প্রাক্তন জাতীয় ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘জামশেদপুরের কাছে মোহনবাগানের হারের পিছনে অন্তত দুই থেকে তিনটি কারণ রয়েছে বলে আমার মনে হয়।’

প্রাক্তন ডিফেন্ডার বলেন, ‘এই ম্যাচে মোহনবাগানের প্রথম ক্ষতিই হয়েছে জাতীয় দলে খেলার সময় চোটের কবলে পড়েন বাগানের দুই নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় আপুইয়া ও মনবীর। ফলে তাঁদেরকে এই ম্যাচে পাননি মোলিনা। ফলে এই জায়গাটাতেই শুভাশিসরা অনেকটা পিছিয়ে পড়েছিল।

কেননা মনবীর যেভাবে উইং দিয়ে দলকে অপারেট করেন এবং আপুইয়া যেভাবে বাগানের মাঝমাঠকে নেতৃত্ব দেন তা সাহাল বা অনিরুদ্ধ কিংবা টাংড়ির মধ্যে দেখতে পেলাম না। ফলে জামশেদপুর মাঝমাঠের দখল নিয়ে আক্রমণ শানাতে শুরু করে। এবং মোহনবাগানকে ডমিনেট করতে থাকে। এইখান থেকেই ম্যাচ থেকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ ব্যর্থ হতে থাকে মোহনবাগান।’

একটা নির্বিষ আক্রমণ থেকে প্রথম গোলের সন্ধান পায় জামশেদপুর। এই ক্ষেত্রে শুভাশিস ও গোলরক্ষক বিশাল কাইথকে দায়ি করে অলোক জানান, ‘শুভাশিস দলের একজন নির্ভরযোগ্য ডিফেন্ডার। দীর্ঘদিন ধরে খেলছেন। এ বছর অনেক ভাল ভাল ম্যাচ উপহার দিয়েছেন।

কাজেই বৃহস্পতিবার সিভেরিও যে গোলটা করেছে, তাতে শুভাশিস যদি ঠিকমতো জায়গায় থাকতেন, তাহলে গোলটা নাও হতে পারত। তবে শুধু শুভাশিস একাই নন, দায়ী বিশাল কায়েথ-ও। বিশালের উচিত ছিল ঠিক জায়গায় থাকা। এই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে সিভেরিও।’

অপরদিকে কামিন্সের গোলের প্রশংসা করে, অলোক বলেন, ‘কামিন্স অনেক বড় মাপের খেলোয়াড় এটা প্রমাণ করে দিয়েছেন। অনবদ্য একটা গোল করে। সত্যিই এই গোল দেখার জন্যই তো স্টেডিয়ামে যান ফুটবলপ্রেমীরা। তবে জামশেদপুরের দ্বিতীয় গোলের ক্ষেত্রে আমি জ্যাভিকেই কৃতিত্ব দেব। কেননা এই গোলের ক্ষেত্রে কিছুই করার ছিল না বিশাল বা মোহনবাগা ডিফেন্সের।‘

এর পাশাপাশি অলোক প্রশংসা করেন জামশেদপুর এফসির কোচ খালিদ জামিলের। প্রাক্তন জাতীয় ডিফেন্ডার জানান, ‘আইএসএল-র মঞ্চে খালিদ একমাত্র ভারতীয় কোচ হিসাবে তাঁর দলকে এতদূর অবধি টেনে তুলেছেন। আমি ওর এই সাফল্যের জন্য ওকে সাধুবাদ জানাব। জামশেদপুর দলটাকে যেভাবে ও নিজের মতো করে তৈরি করে আজকে এতদূর নিয়ে এসেছ, এর কৃতিত্ব পুরোপুরি খালিদের। আমি ওর সাফল্য কামনা করি।’

এরপর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফের মোহনবাগান মুখোমুখি হবে জামশেদপুর এফসির। সেই ম্যাচে মোহনবাগান ঘরের মাঠে খেলার সম্পূর্ণ ফায়দা কাজে লাগাতে পারবে বলেই মনে করেন প্রাক্তন এই ডিফেন্ডার। তাঁর মতে, ‘আগামী ৭ তারিখ মোহনবাগানের কাছে মর্যাদার লড়াই। আশা করি শুভাশিসরা সেই ম্যাচে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে ম্যাচ জয় করেই মাঠ ছাড়বেন।’

Related Articles