কেন ধারবাহিকতা রাখতে পারছে না দল, কারণ ব্যাখ্যা অস্কারের
Oscar explains why the team can't maintain continuity

Truth Of Bengal : চলতি আইএসএল-এর আসরে অনেকটা পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। কুয়াদ্রাত জমানা শেষ হওয়ার পর এখন চলছে অস্কার অধ্যায়। পর পর দুটি ম্যাচে দূরন্ত জয়। কিন্তু তারপরই লাল-হলুদ যেন আবার সেই পুরনো ছন্দে। সোমবার মুম্বই সিটি এফসির বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২ গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কামব্যাক। কিন্তু তারপরই ঘটল বিপদ। ভঙ্গুর রক্ষণ ডুবিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গলকে। নিশ্চিত এক পয়েন্ট হাতছাড়া হল। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে? আসল গলদটা কোথায়? ম্যাচ শেষে সাংবাদিক সম্মলনে এসে তারই ব্যাখ্যা দিলেন ডেভিড-বিষ্ণুদের হেডস্যার।
অস্কার জানান, ‘মুম্বই ম্যাচে আমার ছেলেরা নিজেদের সেরা খেলাটা ঠিকমতো খেলতে পারিনি। মাঠে প্রতিপক্ষকে আটকাতে গেলে যা যা করা দরকার, তাও হয়নি। মুম্বই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তাদের বিপক্ষে যে হাফচান্সগুলি আমরা পেয়েছিলাম, সেগুলিও ফুল চান্সে পরিণত করতে পারিনি। এটা খুব একটা ভাল দিক নয়। প্রথমার্ধে আমরা দু-গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে এসে আক্রমণের ঝাঁজ বাড়িয়েছি। গোলও পেয়েছি। সমতায়ও ফিরেছি। কিন্তু হলে কি হবে, সেটা ধরে রাখতে পারিনি।’
দলের এই রোগটার নামই হল আত্মতুষ্টি। এই প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, ‘আমার মনে হয়েছে, যখনই ২ গোলে পিছিয়ে থেকে আমরা সমতায় ফিরে এলাম, ঠিক সেই সময় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস ভর করেছিল ফুটবলারদের। খেলার নিয়ন্ত্রণ নিজেদের অনুকূলে না নিয়ে আক্রমণে উঠলে তার ফল তো ভোগ করতেই হবে। দলের ফুটবলারদের কাছ থেকে এইরকম পারফরম্যান্স আমায় যথেষ্ট হতাশ করেছে।’
এর পাশাপাশি চোট আঘাতের সমস্যাও যে তাঁর দলকে বিপদে ফেলছে সেটাও জানাতে ভুললেন না লাল-হলুদের হেডস্যার। এই ব্যাপারে অস্কার জানান, ‘চোট আঘাতের ফলেও দলের ছন্দ অনেকটাই নষ্ট হচ্ছে। কেননা, আমার হাতে প্রয়োজনীয় ফুটবলার নেই। প্রথম একাদশের কোনও ফুটবলার চোট পেলে, খুব সমস্যা হচ্ছে দল গঠন করতে। কিন্তু এখন কিছু করার নেই। সেই কারণে অনেক ফুটবলারকেই তাঁদের নিজস্ব পজিশন ছেড়ে অন্য পজিশনে খেলাতে হচ্ছে।’
লাল-হলুদে এর পরের ম্যাচগুলি আরও কঠিন। কেননা ১১ তারিখ ডার্বি ম্যাচ। তারপরে রয়েছে কেরল, এফসি গোয়া এবং মুম্বই ম্যাচ। কাজেই দল যদি এইরকম পারফরম্যান্স করে তাহলে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকে ওঠা আরও কঠিন হয়ে যাবে ভেবেই চিন্তায় রয়েছেন লাল-হলুদ কোচ।