খেলা

পেনাল্টি বিতর্ক নিয়ে ফাইনালে মোহনবাগান! ইলিশ-চিংড়ির যুদ্ধের অপেক্ষায় সমর্থকরা

Mohunbagan SG vs FC Goa Match Details

The Truth of Bengal: অবশেষে আরও এক ডার্বির সাক্ষী থাকতে চলেছে ফুটবলপ্রেমীরা। রবিবাসরীয় ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে চলেছে সবুজ-মেরুন শিবির। তবে বৃহস্পতিবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে মোহনবাগান যেভাবে খেলল, তা দেখে কিঞ্চিৎ সন্দেহ হচ্ছে আদৌ কি লাল হলুদকে হারাতে পারবে তাঁরা? কারণ, কোনও দ্বিধা নেই যে এবারের ডুরান্ডে এখনও পর্যন্ত সেরা পারফর্মেন্স দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে ভারতসেরা মোহনবাগান কোনওভাবেই সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি।

বৃহস্পতিবারের সেমিফাইনালে বিরুদ্ধে প্রথম ১০ মিনিট মোহনবাগানকে দাবিয়ে রেখেছিল গোয়া। ছোট ছোট পাসে আক্রমণ সাজাচ্ছিল তাঁরা। প্রথমার্ধে তিনবার মোহনবাগের রক্ষণ ভেঙে গোলের চেষ্টা করে, যার মধ্যে একবার সফল হয়। ক্রমাগত চাপে রাখার ফলে ২২ মিনিটের মাথায় হুগো বুমোসে ভুল পাসে সাপে বর হয় তাঁদের। দ্বিতীয় পোস্টে গোল করেন নোয়া সাদাউই। ঘরের মাঠে এমন দুর্বল খেলা অনেকদিন খেলেনি মোহনবাগান। সবুজ মেরুনের দুই ডিফেন্ডার হেক্টর ইয়ুস্তে, শুভাশিস বসুর হতশ্রী পারফর্মেন্স ছিল এদিন।

তবে ৪২ মিনিটে সমতা ফেরে বাগান। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ফাউল পরিণত হয় পেনাল্টিতে। বক্সে ঢোকার চেষ্টা করছিলন সাহাল আব্দুল সামাদ, সেই সময় তাঁকে আঁটকাতে গিয়ে ফাউল করেন গোয়ার ডিফেন্ডার। গোয়ার খেলোয়াড়রা দাবি করেন বক্সের বাইরে সামাদ পড়ে গিয়েছে, কিন্তু রেফারি লাইন্সম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে পেনাল্টি দেন। আর এই পেনাল্টির ফায়দা নেয় কামিংস। ১-১ গোলে বিরতিতে যায় দু’দল। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বুমোসকে তুলে আর্মান্দো সাদিকুকে নামান জুয়ান ফেরান্দো। তারপরেই আক্রমণাত্মক ফর্মে ফেরে সবুজ মেরুন। যারফলে ৬০ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় বাগান। গোয়ার সন্দেশ জিঙ্ঘনের ভুল শটে বল পায়ে পায় সাদিকু। তারপরেই ডান পায়ের জোরালো শটে গোল করে ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত করে মোহনবাগান।

Related Articles