
The Truth of Bengal: আইএস এলের মরশুম শুরুতে মোহনবাগানের যে ঝাঁজ ছিল তা যেন ক্রমশক্তিকে হয়ে এসেছে মাঝপথে এসে। গত ম্যাচে মুম্বাই সিটি অ্যাপস এর বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল বাগান শিবির কে। এই ম্যাচে ও ফের হার। দিনের শুরুটা যেমন বলে দেয় বাকি দিনটা কেমন যাবে সেরকম এদিন ও ও ম্যাচের বয়স যখন ১০ মিনিট তখন যেনখেলার তাল কাটে। যদিও ৯০ মিনিট পর্যন্ত সমর্থকরা আশা করেছিল গোল করে এফসি গোয়াকে হারাবে। সে গুড়ে বালি দিয়ে গোল করতেই পারল না উপরন্তু যে গোল খেয়েছে শোধ ও করতে পারেনি। রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পেয়ে যায় গোয়া। এদিনের ম্যাচ চার এক গোলে হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। মোহনবাগানের হয়ে এদিন ১মাত্র গোল করেন পেত্রাতোস। গোয়া ৪ গোল করে। নোয়া-২, ভিক্টর, মার্তিনেস ।
শুরুর দিকে দুদল ই প্রতিপক্ষ কে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করে । তার পর একটা সময়ে দাপট বাড়ে গোয়ার। অনেক বেশি আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলতে থাকে তারা । কোনও সময় জয় গুপ্তা তো কোনো সময় উদান্ত এগোতে থাকেন । আক্রমণ এবং প্রতি আক্রমণে চলতে থাকা খেলায় বাক তিন গোল শোধ করে উঠতে পারেনি বাগান শিবির। একে তো গোলের দেখা নেই তার পর আবার চোটের প্রভাব । এদিন ৭২ মিনিটের মাথায় বড় সমস্যায় পড়ে মোহনবাগান। হঠাৎ ই পা চেপে ধরে বসে পড়তে হয় ব্রেন্ডন হ্যামিলকে । ফলত লাল কার্ড না দেখেও ১০ জন হয়ে যায় মোহনবাগানের তার ফল বাকি সময়েও ভুগতে হয়েছে । নতুন কাউকে আর নামানো হয়নি। পা চেপে ধরে বসে পড়েন ব্রেন্ডন হ্যামিল। পেশিতে টান ধরে তাঁর।
তত ক্ষণে মোহনবাগান সব পরিবর্তই ব্যবহার করে ফেলেছে। ফলে নতুন কাউকে নামানোর উপায় ছিল না। লাল কার্ড না খেয়েও দশ জন হয়ে যায় মোহনবাগান। তার ফল ভুগতে হয় ম্যাচের শেষের দিকে। সেভিয়ার গামাকে আটকাতে গিয়ে বক্সের মধ্যেই ফাউল করেন অনিরুদ্ধ থাপা। পেনাল্টি থেকে গোয়ার চতুর্থ গোল পরে কার্লোস মার্তিনেসের। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে দারুণ জায়গায় ফ্রিকিক পেয়েছিল মোহনবাগান। এ বার পেত্রাতোসের শট বারের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এই হার মোহনবাগানের দিকে বহু আঙুল তুলে দিয়েছে । কারণ সদ্য শেষ হওয়া এএফসি কাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে মোহনবাগান।সঙ্গে আইএসএলের মাঝ পথে এসে পর পর ম্যাচে গোলের অভাব । কোচের ভূমিকা নিয়ে উঠতে পারে প্রশ্ন । গতবারের আইএস এলের চ্যাম্পিয়নদের এবার কী হতে চলেছে তা নিয়ে জল্পণা তৈরি হয়েছে।