
The Truth of Bengal: ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন ঝাড়গ্রামকে উন্নয়নকে আলোয় ভরিয়ে অনুন্নয়ন দূর করার লক্ষ্য নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।শিক্ষা,স্বাস্থ্য থেকে সার্বিক বিকাশকেই অগ্রাধিকার দেন তিনি।বাম আমলে এই জঙ্গলমহলে অনুন্নয়ন,বুলেটের আওয়াজ আতঙ্কের আবহ তৈরি করে।এখন সেই অরণ্যঅঞ্চলে কান পাতলে আর বোমা বন্দুকের শব্দ শোনা যায় না।শান্তির পথে এগারো থেকেই সবুজভূমিকে সাজিয়ে তুলতে নতুন নতুন পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হচ্ছে।রাস্তাঘাট থেকে স্কুল-কলেজ-নার্সিং কলেজ-পলিটেকনিক শিক্ষালয় গড়ে ওঠায় মানব সম্পদ সৃষ্টির কাজ সমানে চলছে।জঙ্গলমহল এখন উন্নয়নের মডেল হয়ে উঠেছে। জঙ্গলমহলের আরও উন্নয়নে নজর বাংলার সরকারের।
কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক প্রধান ঘোষণা করেন ‘দ্রুত ৮৪৪টি পদে সাঁওতালি ভাষার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। সাঁওতালি মাধ্যমে বিদ্যালয় শুরু করার পাশাপাশি বিএড কলেজেও সাঁওতালি ভাষা অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য। কিরকম উন্নয়নের কাজ হচ্ছে,লোধা-শবর-কুড়মিরা কতটা পরিষেবা পাচ্ছেন তা দেখতে মঙ্গলবারই ঝাড়গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যান শ্রীরামকৃষ্ণ সারদাপীঠে।সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে গান শোনান কন্যা গুরুকুলের পড়ুায়ারা। মঙ্গলবার তিনি কুড়মিদের মতোই ভারত জাকাত মাঝি পরগনার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতারা মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। তাঁরা কুড়মালি ভাষার স্বীকৃতি, কুড়মি উন্নয়ন পর্যদ গঠনের জন্য কতটা সুবিধা হয়েছে সেকথা তুলে ধরেন।
৯অগাস্ট আদিবাসী দিবস।তাই বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেবেন ঝাড়গ্রামে আদিবাসীদের অনুষ্ঠানে।আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও ভাবনাকে মর্যাদা দিতে মুখ্যমন্ত্রী ওড়িশ্যা থেকে আনা কুঞ্চি শাড়ি পরে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে নৃত্যেও সামিল হতে পারেন তিনি। বেশকিছু প্রকল্পের উদ্বোধন ও পরিষেবা প্রদানের কাজেও তিনি অংশ নিতে পারেন।পঞ্চায়েত ভোটে জঙ্গলমহলে গেরুয়া ফিকে হয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল জয় পেয়েছে। ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদে ১৯টি আসনের মধ্যে ১৯টিতেই ফুটেছে ঘাসফুল, পঞ্চায়েত সমিতি ২১০টি আসনটি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ১৯১টি,বিজেপি ৮টি।গ্রামপঞ্চায়েতেও আশাতীত ফল করেছে শাসকদল, ১০০৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ৭১২টি, বিজেপি -১৩১টি পেয়েছে।এখন গ্রামোন্নয়ন থেকে আদিবাসীদের মাণোন্নয়ন সব বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বুধবার কী বার্তা দেন,তারই অপেক্ষায় জঙ্গলমহলবাসী।