
The Truth of Bengal: দল ভাঙিয়ে দল ভারী করার রাজনীতি বাংলায় আমদানি করে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে এই অভিযোগ জোরালো হয়। দেখা যায়,তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতাদের দলে টেনে চমক দেয় পদ্ম শিবির। সেই রাজনীতির পর আদি-নব্যের কলহ বাড়ে বিজেপিতে। উপদলীয় কোন্দলের চোরাস্রোতে মূলস্রোতের রাজনীতিতে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ে বিরোধী শিবির। বিজেপির পায়ের তলার মাটি আলগা হয়।সংগঠনহীন দলে চাপিয়ে দেওয়ার নীতি নীচের তলায় বিদ্রোহের ঘটা বাড়ায়। এবার পঞ্চায়েতে বিজেপির ভোট শতাংশ নেমেছে। ৩৮শতাংশ থেকে নেমে এসেছে প্রায় ২২শতাংশে। এরমাঝে গোষ্ঠী বিবাদ গেরুয়ার কঙ্কালসার চেহারাটা আরও স্পষ্ট করছে।
বিশ্বাসহীনতার চক্রব্যুহে আটকে পড়া বিজেপিতেই অভিযোগ উঠছে, দলের জেলা সভাপতি দলবদলে ইন্ধন দিচ্ছেন। খোদ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলায় ভাঙাগড়ার অভিযোগ নিয়ে শোরগোল চরমে। পাঁশকুড়ার কেশাপাট ও মাইসোরার ২২জন বিজেপির প্রার্থী একযোগে এই অভিযোগে সোচ্চার। তাঁদের দাবি বিজেপির জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও জেলা কোষাধ্যক্ষ জগদীশ প্রামাণিক তৃণমূলে যাওয়ার জন্য প্রলোভিত করছেন। জয়ী ২২জন পঞ্চায়েত সদস্য একযোগে মণ্ডল সভাপতি গোপাল সাহুয়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
বিজেপি নিজেদের রেজিমেন্টেড পার্টি বলে দাবি করে।শৃঙ্খলাবদ্ধ হলের এই শৃঙ্খলাহীনতা বেআব্রু হওয়ায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে বিজেপি। তথাগত রায়,অভিযোগ করেছিলেন,বিজেপিতে কামিনী কাঞ্চনের প্রভাব বেড়েছে,হচ্ছে টাকার খেলা। এখন আরোপ-প্রত্যারোপের ঝাঁঝে বিদ্ধ বিরোধী শিবির যে পথ হারানো পথিকের মতো এগিয়ে চলেছে তা মণ্ডলে মণ্ডলে বিশৃঙ্খলা স্পষ্ট করছে। কি বলছেন জেলা সভাপতি? কেন এই গুরুতর কেনাবেচার অভিযোগ করছেন দলেরই বিক্ষু্ব্ধরা। বিজেপির জেলা সভাপতি পাল্টা অভিযোগ করছেন। কর্মীরা বলছেন,কোন্দলেই কাহিল হচ্ছে পদ্ম শিবির।কাঁটায় কাঁটায় বিদ্ধ হচ্ছে বিজেপি পরিবার।