
The Truth of Bengal: ঘর ভাঙানোর খেলায় মেতে ওঠা বিজেপির হাত ধরে রিসর্ট রাজনীতি দেখছিল দেশ। মহারাষ্ট্রে উদ্ধব ঠাকরের সরকার ভেঙে একনাথ শিন্ডের নেতৃত্বে বেরিয়ে আসা বিধায়কদের উড়িয়ে এনে রাখা হয়েছিল অসমের একটি পাঁচতারা হোটেলে। পঞ্চায়েত ভোটের পর কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারেও সেই একই পথে হাঁটে বিজেপি। তবে অন্য দলের বিধায়ক নন, পঞ্চায়েত ভোটে দলের জয়ী প্রার্থীদের দলত্যাগ রুখতে অসমের ধুবুড়িতে দু’টি বেসরকারি অতিথিশালায় নিয়ে যাওয়া হয়। জেলার শতাধিক জয়ী বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে গিয়ে সেখানে রাখে বিজেপি। এবার সেই ছবি দেখা দক্ষিণবঙ্গে। জয়ী প্রার্থীরা কি এবার দলত্যাগ করতে পারেন? এই আশঙ্কায় ভুগছে বিজেপি। পঞ্চায়েতে নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের এলাকা থেকে সরিয়ে গোপন ডেরায় রাখল বিজেপি।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫ জন বিজেপি প্রার্থীর আস্তানা এখন গোপন ডেরা। এলাকায় জয়ী প্রার্থীরা এলাকায় না থাকায় শুরু রাজনৈতিক তরজা। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগেই এলাকার জয়ী বিজেপি প্রার্থীদের যাতে কেউ তৃণমূলে যোগদান না করতে পারেন সেই ব্যবস্থা করেছে বিজেপি। কোনও ঝুঁকি না নিয়ে নির্বাচনের ফল ঘোষণা হওয়ার পর তাই দলের জয়ী প্রার্থীদের আস্তানা এখন গোপন ডেরা। এই বিষয়ে ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাটের সাফাই, নির্বাচনে ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকে তাদের জয়ী প্রার্থীরা হুমকি পাচ্ছেন। তাই তারা কোনও ঝুঁকি না নিয়েই তাদের অন্যত্র লুকিয়ে রাখা হয়েছে।
দল ভাঙাতে পারে তৃণমূল! বিজেপি এই অভিযোগ তুলে তাদের জয়ী প্রার্থীদের লুকিয়ে রেখেছে। যদিও তাদের বিরুদ্ধে দল ভাঙানোর সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। বিষয়টি বিজেপির সংস্কৃতি বলে কটাক্ষ করেছেন ঘাটাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি দিলীপ মাঝি। ঘর ভাঙানোর খেলায় সিদ্ধহস্ত বিজেপি এখন নিজেরাই সেই আতঙ্কে ভুগছে। তাই পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের আগে দলের জয়ী প্রার্থীদের গোপন ডেরায় আটকে রেখেছে। তাই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ২৫ জন বিজেপি প্রার্থীর আস্তানা এখন গোপন ডেরা। এলাকায় জয়ী প্রার্থীরা এলাকায় না থাকায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এলাকায় জয়ী প্রার্থীরা না থাকা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে নানা প্রশ্ন।