রাজ্যের সাফল্য তুলে ধরতে ছাপানো হচ্ছে বই, সরকারের আমলা থেকে কর্মীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার ফসল
Nabanna

The Truth of Bengal: ৩৪ বছরের বামশাসনকে সরিয়ে রাজ্যে ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূলকংগ্রেস শাসিত সরকার। তিনদফায় একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। আর তিনটি টার্মের মধ্যে রাজ্যকে পোহাতে হয়েছে, নানা ঝড়, ঝাপটা। সম্মুখীন হতে হয়েছে, নানা প্রশাসনিক প্রতিবন্ধকতায়। তা সত্ত্বেও রাজ্যের কোনায় কোনায় দেখা গিয়েছে নানা ক্ষেত্রে উন্নয়নের ছাপ। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তা, পানীয়জল, নানা পরিকাঠামোসহ বহু প্রকল্পেই নয়া দিশা দেখিয়েছে রাজ্য। এবার সেই উন্নয়নের গাথা পুস্তক আকারে মিলবে। এমনটাই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।রাজ্যে তৃণমূলসরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই বিপুল অঙ্কের দেনা নিয়ে কাজ শুরু করা হয়। তারপর সময় যত গড়িয়েছে, রাজ্যের সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের চিত্র দেখা গিয়েছে।
যদিও গত দু বছরে নানা অজুহাত তুলে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ, হকের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে দিল্লি। এমনকী দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ১০০ দিনের টাকা। যদিও প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন নানা প্রকল্প নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও চালু রাখা হয়েছে, তা সবই তুলে ধরা হবে একটি পুস্তিকায়। সূত্রের খবর, কয়েক মাস আগেই নবান্নের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন দফরের সচিবদের মধ্যে আলোচনা হয়। সেখানেই রাজ্যের উন্নয়নচিত্রের পরিপূর্ণ রূপরেখা কীভাবে তুলে ধরা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। ২০১১ সাল থেকে চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছ’মাসে রাজ্যের ৩৪১ ব্লক ও ৬৭টি সাব ডিভিশনে যে উন্নয়ন হয়েছে, তা তুলে ধরতেই এই পুস্তিকা তৈরির পরিকল্পনা।নবান্ন সূত্রের খবর, এই পুস্তিকায় থাকছে, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের কথা।
মাসে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা রোগীর চিকিৎসা বাবদ যে খরচ করা হচ্ছে, এবং প্রায় ২.৫ কোটি পরিবারের সাড়ে দশ কোটি মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। এ ছাড়া কন্যাশ্রীর মতো জনপ্রিয় প্রকল্প, দেশ-বিদেশে কতটা প্রশংসা পেয়েছে, তাও পুস্তিকায় তুলে ধরা হবে। এর ফলে রাজ্যের মেয়েদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের হার যেমন বেড়েছে, তেমনই কমেছে বাল্যবিবাহের প্রবণতা। মাতৃমা প্রকল্পের কারণে প্রসূতি ও শিশুমৃত্যুর হার ২.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। রাজ্যে এইচআইভি কার্যত নির্মূল হয়ে গিয়েছে। নির্মূল হয়েছে কালাজ্বর। ২০২৫-সালের মধ্যে টিবি মুক্ত বাংলা গড়ার ক্ষেত্রে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।পরিষেবা ছাড়া রাজ্যের কৃষিক্ষেত্রে যে জনমুখী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, তার সুবিধা পেয়েছেন বহু কৃষক। ফলে, সারা দেশে সবচেয়ে বেশি ফসল উৎপাদনকারী রাজ্য হিসেবে সেরা জায়গা করে নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এমন বহু সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরা হবে ওই পুস্তিকায়। যা আগামী দিনে রাজ্যের ইতিহাস হয়ে থাকবে।