
The Truth of Bengal: বিরল সৌজন্য ধরা পড়ল দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পুজোয় হাজির হলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানেই তিনি অষ্টমীর পুজোর দেওয়া পর বললেন, আমরা হিংসা ও দুর্নীতিকে বধ করবো।
পুজোর আগে লাগাতার সংঘাত দেখা গিয়েছিল রাজ্য ও রাজভবনের মধ্যে। মূলত শিক্ষাদফতরের লড়াই অত্যন্ত প্রকট হয়েছিল। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুসহ একাধিক তৃণমূলনেতা আক্রমণ শানিয়েছিলেন। সেই তালিকায় ছিলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কিন্তু দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে দেখা গেল বিরল সৌজন্যচিত্র।
অষ্টমীর সকালে কলকাতার রামমোহন সম্মিলনীর পুজোয় দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে। সেই পুজোর মূল পৃষ্ঠপোষক কুণাল ঘোষ। তিনি ওই পুজো কমিটির চেয়ারম্যান। বেলা প্রায় ১০টা নাগাদ সেখানে পৌঁছান রাজ্যপাল। বাংলার সাংবিধানিক প্রধানকে স্বাগত জানান কুণাল ঘোষ। রাজ্যপাল গাড়ি থেকে নামার পর রাজ্যপালের সঙ্গে মণ্ডপের ভিতরে ঢোকেন কুণাল। মণ্ডপের অন্দরসজ্জা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল। পুজোর থিম ও ভাবনার রাজ্যপালকে বুঝিয়ে দেন কুণাল। এই মণ্ডপেই অষ্টমীর অঞ্জলিও দিলেন সিভি আনন্দ বোস।
পুজোর পর, রাজ্যপাল বিবৃতি দেন। তিনি বলেন, ভ্রষ্টাচার হল রক্তবীজ, আর হিংসা হল তারকাসুর, যেমন মা দুর্গা মহিষাসুরকে, মাকালী রক্তবীজকে বধ করেছিলেন, আমরাও ভ্রষ্টাচার, জগতের ভ্রষ্টাচারকে শেষ করবো। যেমন ভগবান কৃষ্ণ তারকাসুরকে বধ করেছিলেন, আমরাও হিংসাকে শেষ করবো, আমরা শেষ পর্যন্ত এই জগতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করবো।
রাজ্যেপালের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে, কুণাল ঘোষ পাল্টা বলেন, উনি যা বলেছেন, তা জগতজুড়ে বলেছেন। অর্থাৎ গাজায় যে হিংসা হচ্ছে, শিশুদের উপর হামলা হচ্ছে, হাসপাতালে বোমা মারা হচ্ছে, সেই সম্পর্কও তাঁর বক্তব্যের মধ্যে পড়ে। উনি ভাষণে খুব স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, জগতজুড়ে।