কলকাতা

আমহার্স্ট স্ট্রিট কাণ্ডে ময়নাতদন্তের চঞ্চল্যকর রিপোর্ট সামনে এলো!

The sensational report of the autopsy in the Amherst Street incident came out!

The Truth Of Bengal : আমহার্স্ট স্ট্রিট থানা থেকে অসুস্থ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার এবং তারপর মেডিক্যাল কলেজে তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সেই আবহেই মৃত ব্যক্তির ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট ইতি মধ্যেই সামনে এসেছে চঞ্চল্যকর রিপোর্ট। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মৃত অশোক সিংয়ের মস্তিষ্কে টিউমার ছিল। আগে থেকে বেশ কিছু শারীরিক অসুস্থ ছিল ওই ব্যক্তির। ম্যালিগন্যান্সির চিকিৎসাও চলছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার পুলিশের মর্গে মৃতদেহ অশোক সিং-র ময়নাতদন্ত হয়। তাতে প্রাথমিক যে রিপোর্ট এসেছে, তাতে বলা হয়েছে, মৃতের মস্তিষ্কে টিউমার ছিল। চিকিৎসাও চলছিল ম্যালিগন্যান্সির। মস্তিষ্কে অ্যানুরিজম তৈরি হয়ে হঠাৎ ফেটে যাওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ওই ব্যক্তির। শুধু এখানেই শেষ নয়, মৃতের শরীরে কোনও রকম আঘাতের চিহ্ন মেলেনি বলেও দাবি করা হয়েছে ময়নাতদন্তর রিপোর্টে।

যদিও এই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট মানতে নারাজ মৃত অশোক সিংয়ের পরিবারের লোকজন। নতুন করে ময়নাতদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মৃতের পরিবার। যদিও প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কত বার ময়নাতদন্ত হবে? মানসিক অবস্থার কথা ভাবতে হবে তো? বৃহস্পতিবার আদালতে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি হয়েছে। আদালত প্রশ্ন তোলেন পরিবারের কাউকে ময়নাতদন্তের সময় কাউকে কি রাখা যেত না? এর পাশাপাশি, বুধবার কলেজ স্ট্রিট বন্ধ ছিল। কে মামলা করল, তৃতীয় পক্ষ বিষয়টি হাইজ্যাক করার চেষ্টা করছে কিনা, এই প্রশ্নও তোলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। এর জবাবে অভিযোগকারীর আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টীব্রেবাল জানান, মৃতের পরিবারের লোকজন নিজে থেকেই তাঁর কাছে এসেছিলেন। শুক্রবার ফের শুনানি রয়েছে মামলার।
চুরি যাওয়া ফোন নিয়ে থানায় আসতে বলায়, বুধবার আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় উপস্থিত হন বছর ৪১-এর অশোক সিংহ নামের ওই ব্যক্তি।

এরপর থানার মেঝেয় তাঁকে পড়ে থাকতে এবং তাঁর মুখ দিয়ে রক্ত বেরোতে দেখা যায় বলে অভিযোগ করেন বাড়ির পরিবারের লোকজন। পুলিশের তরফে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের আর্জি জানাবেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির কাছে। সেই ঘটনায় বুধবার থেকে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। থানায় ঢোকার সময় দিব্যি সুস্থ ছিলেন, পুলিশই পিটিয়ে ওই ব্যক্তিকে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানায়, আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন ওই ব্যক্তি। থানায় এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। মাটিতে পড়ে যান। কিন্তু পুলিশের দাবি মানতে রাজি হননি মৃতের পরিবার এবং বিজেপি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চাওয়ার পাশাপাশি, সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় তারা। রাজ্য সরকারের কোনও হাসপাতাল নয়, কেন্দ্রীয় হাসপাতালে মৃতের ময়নাতদন্ত করতে হবে বলেও দাবি তোলা হয়।

 

FREE ACCESS 

Related Articles