হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ এসএসসি-র, স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের সুপ্রিম কোর্টে
SSC's Special Leave Petition filed in Supreme Court challenging the High Court verdict

The Truth of Bengal: নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ এসএসসি। চাকরি বাতিলের রায়ের পর এসএসসি-র তরফে আগেই জানানো হয়েছিল শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার কথা। সেইমতো বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের হল শীর্ষ আদালতে।এসএসসি নিয়োগ ‘দুর্নীতি’ মামলায় সোমবার ২৫,৭৫৩টি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন। রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গেল রাজ্য সরকার। এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার রায় ঘোষণার দিনই জানিয়েছিলেন, তাঁরা শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হবেন।
বুধবার এসএসসি-র তরফে হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। সিবিআই তদন্তে পাঁচ হাজার চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। তার বাইরে হাই কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন ১৯ হাজারের বেশি শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মী। যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে ন্যায্য ভাবে যারা চাকরি পেয়েছিলেন, কেন তাঁদের কর্মহারা হতে হবে? এখন তাঁদের সংসার চলবে কী ভাবে, তাঁদের সামাজিক সম্মানের বা কী হবে— এই প্রশ্ন তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন চাকরিহারারা। ন্যায় বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার তাঁদের একাংশ শহিদ মিনারের সামনে ধর্নায় বসেন। সেই ধর্না অব্যাহত। বুধবার আরও অনেক চাকরিহারা এই ধর্নায় যোগ দেন। গত সোমবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শাব্বর রশিদির বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্যানেল বাতিল করে দেয়।
গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি মিলিয়ে মোট ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করে ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে জানানো হয়, প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর যাঁরা চাকরি পান, তাঁদের ১২ শতাংশ সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে হবে চার মাসের মধ্যে। এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাওয়ার কথা আগেই জানিয়েছিল এসএসসি। সেইমতো বুধবার স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের হল শীর্ষ আদালতে। আবেদনে এসএসসি-র তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, যাদের ক্ষেত্রে অনৈতিকতার অভিযোগ নেই তাদের চাকরি বাতিল করা হল কেন? স্পেশ্যাল লিভ পিটিশন দায়ের করে এসএসসি সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন করেছে দ্রুত শুনানির জন্য। জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় অথবা অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে এই মামলার শুনানি হতে পারে। স্বাভাবিক নিয়মে যোগ্য হিসেবে যারা চাকরি পেয়েছিলেন এখন সুপ্রিম কোর্টের হাতে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।