গরমে বেহাল অবস্থা পুলিশকর্মীদের, কিছুটা স্বস্তি দিতে পথে নেমে পাশে দাঁড়ালেন নগরপাল
Lalbazar has a humanitarian role to stand by the policemen

The Truth of Bengal: চড়া রোদ আর গরমের দাপটে পথে থাকতে পারছে না সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় পথে নেমে ডিউটি করতে হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ কর্মীদের। গরম থেকে কিছুটা রেহাই দিতে সেই পুলিশকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে মানবিক ভূমিকা লালবাজারের। পার্ক সার্কাস, শ্যামবাজার, বউবাজার-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হাতে লালবাজার। ORS, জলের বোতল, ছাতা, সানগ্লাস তুলে দিলেন নগরপাল বিনীত গোয়েল। বাতাসে যেন আগুনের হলকা। বাংলা নববর্ষের শুরু থেকেই দাপটে ব্যাটিং করে যাচ্ছে গরম। প্রতিদিন বেড়েই চলেছে তাপমাত্রার পারদ। শহর কলকাতায় জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এমন অবস্থায় পথে নামা মানুষজনকে গলদঘর্ম হতে হচ্ছে।
আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। আবহাওয়া দফতর জানাঞ্চছে, দাপুটে গরমের নজিরবিহীন স্পেল চলছে। গত পাঁচ বছরে একটানা এত বেশি গরম পড়েনি এপ্রিলের শুরুতে। বৈশাখের শুরুতেই বিভিন্ন জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে দুই বা তিন ডিগ্রি বেশি। এখনও জ্যৈষ্ঠ বাকি, তখন তা হলে কী হবে? গরমের কথা আতঙ্কিত মানুষ। এই মারাতম গরমে পথে নেমে ডিউটি করা পুলিশ কর্মীদের অবস্থা বেহাল। কর্তব্যের জন্য পথে নামা ছাড়া তাদের সামনে বিকল্প উপায় নেই। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশকর্মীদের। তীব্র গরমে তিলোত্তমায় পথে ডিউটি করা পুলশি কর্মীদের পাশে দাঁড়াল লালবাজার। ORS, জলের বোতল, ছাতা, সানগ্লাস তুলে দেওয়া হল পুলিশ কর্মীদের হাতে।
গরম থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে পার্ক সার্কাস, শ্যামবাজার, বউবাজার-সহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি জায়গায় কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের হাতে এইসব সামগ্রী তুলে দেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল।আবহাওয়া দফতর কলকাতায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করার পর চিকিৎসকরা সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত রোদে না থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এই কথাটি প্রযোজ্য হলেও উপায় নেই পুলিশ কর্মীদের। যান শাসন ঠিক রাখতে রোদ উপেক্ষা করে তাদের পথে নামতেই হবে। তেমন পুলিশ কর্মীদের জন্য মানবিক পদক্ষেপ করল লালবাজার। পথে নেমে ডিউটি করা পুলিশ কর্মীদের হাতে ORS, জলের বোতল, ছাতা, সানগ্লাস তুলে দিলেন নগরপাল বিনীত গোয়েল।