
The Truth of Bengal: জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিস। পুলিশের জেরায় অভিযুক্তর মুখ থেকেই উঠে এসেছে বড়ভাই এর নাম। কে এই ‘বড়ভাই’ তার তল্লাশিতে এখন বারুইপুর জেলা পুলিশ। কারণ এই বড়ভাই-ই শাহরুল সেখ নামে ধৃত ওই যুবককে জয়নগরে ডেকে পাঠিয়েছিল। তদন্তে নেমে সন্দেহভাজনদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এবার এনিয়ে মুখ খুললেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।
ভোট পরবর্তী বাংলায় হিংসা নিয়ে একাধিকবার সরব হয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এনমনকি রাজভবনে কন্ট্রোল রুমও খুলেছিলেন তিনি। বুধবার রাজ্যপাল জয়নগরে তৃণমূল নেতার মৃত্যু নিয়েও সরব হন। সিভি আনন্দ বোস তিনি বলেন, আইন আইনের পথে চলবে। রাজভবন তার কর্তব্য পালন করবে।
হিংসার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে পুলিশ প্রশাসনকে। শুধু আইনি ব্যবস্থাই নয়, সামাজিক পদক্ষেপও নিতে হবে। হিংসা বন্ধে আমাদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে করলেন বাংলার রাজ্যপাল।উল্লেখ্য, জয়নগরের তৃণমূল নেতা খুনের পর পাশের গ্রামের বিরোধী ভোটারদের বাড়িতে হামলা হয়েছে বলে দাবি বিরোধীদের। মারধর করা হয়েছে বহু মানুষকে, হামলার ভয়ে অনেকেই এখন গ্রামছাড়া। তারা কখনও থানায় কখনও সিপিএমের পার্টি অফিসে রয়েছেন। এনিয়ে রাজ্যপাল বলেন, ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, লুঠ করা এসব হিংসলার অংশ। এক্ষেত্রেও কড়া পদক্ষেপ করতে হবে। আইন ও প্রশাসন ঘরছাড়াদের বিষযটি দেখবে।উল্লেখ্য, পুলিশের জেরায় শাহরুল জানিয়েছে গুলি সে চালায়নি।
মঙ্গলবার তাকে বারুইপুর আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে শাহরুল জানায়, ফেরি ও চুরির কাজ করত সে। তাকে চুরির কথা বলে জয়নগরে আনে সংগ্রামপুরের টেকপাঁজার বাসিন্দা ‘বড়ভাই’ ওরফে নাসির। সে-ই সইফুদ্দিনের উপরে নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছিল। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক নেই। কাজের জন্য কোনও টাকাও সে পায়নি। সইফুদ্দিন খুনের পর সাহাবুদ্দিন নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে গণপিটুনিতে। শাহরুলের দাবি দাবি সে গুলি চালায়নি। গুলি চালিয়েছিল সাহাবুদ্দিনই।
free Access