
The Truth of Bengal: জিটাটেল সংস্থার আয়োজনে গত ৬ জানুয়ারি, ২০২৪ তারিখে জি ডি বিড়লা সভাঘরে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ‘গানের আকাশ কবি’ শিরোনামের এক বিশেষ অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের মূল উপজীব্য বিষয় ছিলো শঙ্খ ঘোষের কবিতা এবং রবীন্দ্রনাথের গান। তবে অনুষ্ঠানটি শুধুমাত্র তা নয়, এর মাধ্যমে আরও অনেক কিছুর প্রত্যক্ষ করালো বাঙালী-কে, কলকাতাবাসী-কে। এই অনুষ্ঠানে দুই বাংলার শিল্পীদের পারস্পরিক মেলবন্ধন ঘটেছিলো। বাংলাদেশের শিল্পী লাইসা আহমদ লিসা এবং ভারতের শিল্পী প্রবুদ্ধ রাহা, প্রত্যয় রাহা এবং পৌলমী মজুমদার একই মঞ্চে একসাথে গান গেয়েছিলেন এবং কবিতা পাঠ করেছিলেন। এটি বাঙালী সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এই অনুষ্ঠানে প্রজন্মের সঙ্গে প্রজন্মের সাক্ষাৎ ঘটেছিলো। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং সৌমিলী বিশ্বাসের মতো বর্ষীয়ান শিল্পীদের পাশাপাশি প্রত্যয় রাহা এবং পৌলমী মজুমদারের মতো নবীন শিল্পীরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।
এই অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ এবং শঙ্খ ঘোষের মতো দুই মহান বাঙালি কবির সৃষ্টির মেলবন্ধন ঘটেছিলো। প্রবুদ্ধ রাহা, লাইসা আহমদ লিসা, প্রত্যয় রাহা এবং পৌলমী মজুমদার রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছিলেন এবং বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং সৌমিলী বিশ্বাস শঙ্খ ঘোষের কবিতা পাঠ করেছিলেন। এটি আমাদের বাঙালী সংস্কৃতির সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করে। অনুষ্ঠানে লাইসা আহমদ লিসা এবং প্রবুদ্ধ রাহা ‘প্রাণে গান নাই’, ‘আমি তারেই খুঁজে বেড়াই’, ‘তুমি তো সেই যাবেই চলে’, ‘শান্তি করো বরিষন’ ইত্যাদি রবীন্দ্রনাথের গান গেয়েছিলেন। প্রত্যয় রাহা ‘হেথা যে গান গাইতে আসা’, ‘জাগ জাগ রে জাগ’ এবং পৌলমী মজুমদার ‘অনেক কথা বলেছিলেম’, ‘জীবন যখন ছিল ফুলের মতো’ গান গেয়েছিলেন। বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী এবং সৌমিলী বিশ্বাস শঙ্খ ঘোষের ‘সূর্য ডুবে যায়’, ‘শেষের কবিতা’, ‘আমি যে কখনও’ কবিতা পাঠ করেছিলেন।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন শ্যামলী আচার্য। অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথের গানের অভিজ্ঞ, বরিষ্ঠ শিল্পী প্রমিতা মল্লিক এবং সংঘমিত্রা গুপ্তকে সম্মান জানিয়ে জিটাটেল নিজেদের সম্মানিত করেছিলো। যন্ত্রসঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে সুরজিত দাসের কথা আলাদা করে না বললে অন্যায় হবে। ওঁর মুন্সিয়ানা, শৈল্পিক দক্ষতা শহর কলকাতা আরও একটি বার প্রত্যক্ষ করলো। ওঁর সঙ্গে ছিলেন দেবাশীষ হালদার এবং পার্থ মুখোপাধ্যায়। সমগ্র অনুষ্ঠানের ভাষ্য লিখেছেন সুমন্ত্র সান্যাল। এই অনুষ্ঠানটি বাঙালী সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে। এটি আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণা।