আন্তর্জাতিক

কপ্টার দুর্ঘটনায় হাত নেই ইজরায়েলের, রাইসির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললো ইরান

Israel has no hand in the copter crash, Iran opens up about Raisi's death

Truth Of Bengal: চলতি বছরের ১৯ মে কপ্টার দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিয়ে ছিল ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির। ৬৩ বছর বয়সী রাইসির মৃত্যুর জন্য দায়ি করা হয়েছিল ইজরায়েলকে। যদিও সেই দাবি মানতে রাজী নন ইহুদি দেশ।রাইসির মৃত্যুর নেপথ্যে ইজরায়েলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠেছিল। যদিও সেই অভিযোগকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে এবার রাইসির মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন ইরান।

ইজরায়েলের বিরুদ্ধে মৃত্যুর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ইহুদি দেশটি রাইসির মৃত্যুর একটি তদন্ত রিপোর্ট সামনে আনেন। কী রয়েছে ওই তদন্তের রিপোর্টে? চলতি বছরের মে মাসে কপ্টার ভেঙে পড়ে। আর সেই দুর্ঘটনায় প্রাণ চলে যায় ইব্রাহিম রাইসির। এরপরই সারা বিশ্ব জুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। কপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তৎকালীন বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান-সহ মোট ৬ জনের প্রাণ যায়। চিরকালই কট্টর ইজরায়েল বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিল রাইসি।অক্টোবরে শুরু হওয়া হামাস-ইজরায়েল হামলার পর থেকেই সেই বিরোধিতা আরও তীব্র থেকে তীব্রতর হয়।

এপ্রিলে হওয়া ইরান-ইজরায়েল হামলার আবহেই দুই দেশের মধ্যে হামলা পালটা হামলা চলতে থাকে। এই দুইদেশের হামলার কবলে পড়েই প্রাণ যায় রাইসির। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেইরাইসির মৃত্যুর জন্য তেল আভিভের বিরুদ্ধে সন্দেহ দানা বাঁধে। কিন্তু এই সব অভিযোগকে নস্যাৎ করে ১ সেপ্টেম্বরইরানের সেনা বাহিনীরাইসির মৃত্যুর একটি তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে।

ইরানের সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হেলিকপ্টারটির রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতের সমস্ত তথ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ফ্লাইট রেকর্ডারটি ইতিমধ্যেই পরীক্ষা করা হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোথাও কোনও ত্রুটি খুঁজে পাওয়া যায়নি।কপ্টারটি সঠিক পথেই এগোচ্ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। কিন্তু চলার পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়াই আবহাওয়া।ঘন কুয়াশার কারণে দৃশ্যমান্যতা কমতে থাকে। যে কারণে এই কপ্টারদুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা যায়।

Related Articles