জামায়াতে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠা, সায় নেই বিএনপির
Establishment of Jamaat-e-Islami regime, BNP does not agree

Truth Of Bengal: নির্বাচনের দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়িয়ে চলেছে বিএনপি। অন্যদিকে ইসলামি দলগুলিকে একজোট করে বাংলাদেশে ইসলামি শাসন ব্যবস্থা গড়তে চাইছে জামায়াতে ইসলামী। ইতিমধ্যেই সেই ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রণয়নেরতৎপরতাও জোড় কদমে চলছে। তবে এরই মধ্যে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। এই বিষয়ে বলতে গেলে, বিএনপির মহাসচিব মন্তব্য করেছেন, “যাঁরা একটি আসনেও ভোটে জিততে পারবেন না, তাঁরা এখন বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছেন।’’
বিএনপির বেশ কিছু নেতা ইতিমধ্যেই দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন ইউনূসের কাছে। এমতাবস্থায় শনিবাররাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি বৈঠক করার কথাও জানিয়েছেন ইউনুস। বৈঠকে থাকতে পারে অন্যান্য উপদেষ্টারাও। ওই বৈঠকের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলির কাছ থেকে ‘ব্যবস্থা সংস্কারের’ প্রস্তাব চাওয়া হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। যদিও এই নিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেছিলেন, “মুষ্টিমেয় কিছু লোকের সংস্কারে আমরা বিশ্বাসী নই।
নির্বাচিত সরকার গঠনেই অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত। তারাই প্রয়োজনীয় সংস্কার করবে।” এই আবহেই আওয়ামী লীগ নেত্রী শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, তিনি যাতে দেশের স্বার্থে সব দ্বন্দ্ব, বিরোধ সরিয়ে ফেলে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠায় সামিল হন। একথার জবাবে বিএনপির মহাসচিব ফখরুল বলেছেন, “বিএনপি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট বেঁধেকাজ করতে আমাদের অসুবিধা নেই। কিন্তু ১৫ বছর ধরে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতিকে তারা যে ভাবে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিয়েছে, তার জন্য আওয়ামী লীগকে জবাবদিহি করতে হবে। তার পরে এক সঙ্গে কাজ করা যাবে।”