Sudeep Chandra Haldar: সুবিধাবঞ্চিতদের মুখে হাসি ফোটালেন কবি ও গবেষক সুদীপ চন্দ্র হালদার, উদযাপন করলেন দেব দীপাবলি
সেইসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এলেন উদীয়মান কবি ও গবেষক সুদীপ চন্দ্র হালদার।
Truth of Bengal: ভারতের আধ্যাত্মিক রাজধানী খ্যাত পবিত্র কাশী বুধবার রাতে সেজে উঠল লক্ষ লক্ষ প্রদীপের আলোয়। গঙ্গার ঘাটজুড়ে দীপশিখার ঝলকানিতে পালিত হলো দেব দীপাবলি — এটি এমন এক উৎসব, যেদিন শাস্ত্রীয় বিশ্বাস অনুযায়ী দেবতারাও নেমে আসেন পৃথিবীতে এই পবিত্র উৎসব উদযাপন করতে। তবে উৎসবের এই উজ্জ্বলতার আড়ালেও থেকে যায় সমাজের একটি অংশ — যাদের ঘরে আলো পৌঁছায় না। সেইসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে এগিয়ে এলেন উদীয়মান কবি ও গবেষক সুদীপ চন্দ্র হালদার। পবিত্র কাশীর সামনে ঘাট সংলগ্ন বস্তিতে প্রায় চার শতাধিক মানুষের সঙ্গে তিনি ভাগ করে নিলেন দেব দীপাবলির আনন্দ।
দেব দীপাবলির দিনটিতে বস্তির প্রতিটি ঘরে জ্বলে উঠেছিল প্রদীপের আলো, শিশুদের হাতে উঠেছিল রঙিন তারাবাজি, আর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল উৎসবের উচ্ছ্বাস। হঠাৎ উৎসবের আনন্দে আত্মহারা পুরো বস্তিবাসী। সুদীপ চন্দ্র হালদার নিজ হাতে বস্তিবাসীদের মধ্যে শাড়ি ও মিষ্টি বিতরণ করেন। উৎসবের আনন্দে যেন নিমগ্ন হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। “এটাই আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ দেব দীপাবলি,”— বলেন সুদীপ চন্দ্র হালদার। “এই সাধারণ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সঙ্গে উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার মধ্যেই আমি খুঁজে পেয়েছি এক অদ্ভুত প্রশান্তি। সমাজের সামর্থ্যবানদের উচিত তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো।”
কবি ও গবেষক সুদীপ চন্দ্র হালদার সবাইকে পবিত্র দেব দীপাবলি ও পবিত্র রাস পূর্ণিমার শুভেচ্ছা জানান সকলকে। এই সময় তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কাশী হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীবৃন্দ — সমীর শ্রীবাস্তব, অনুষ্কা তিওয়ারী, বিবেক কুমার, ঈশিতা দেবী মাজী, উর্বি দুবে, সৃষ্টি যাদব ও শিবম শ্রীবাস্তব প্রমুখ। তাদের অংশগ্রহণে উৎসবের উচ্ছ্বাস আরও বেড়ে যায়। দেব দীপাবলির পবিত্র রাতে চন্দ্রালোকিত গঙ্গার ঢেউয়ের সঙ্গে যেন মিশে যায় বস্তির সুবিধা বঞ্চিত শিশুটির নিষ্পাপ হাসি। আলোয় আলোকিত হয় শুধু কাশীর ঘাট নয়, আলোকিত হয় সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক জীবনের মুখও।






