মারাঠাভূমিতে ভাঙনের চোরাস্রোত,রাজনীতির পার্টিগণিত মেলাতে নয়া অঙ্ক
The new generation is gaining ground in Maharashtra's election war

Truth of Bengal: মহারাষ্ট্রের ভোটযুদ্ধে নতুন প্রজন্মের দর বাড়ছে। উদ্ধব পুত্র আদিত্য থ্যাকারের সঙ্গে লড়াই হচ্ছে শিণ্ডে গোষ্ঠীর নেতা মিলিন্দ দেওরার। মহাবিকাশ আঘাড়ি বনাম মহাজুটির টক্করের ঝাঁজ বাড়ছে। বিজেপি নেতৃত্বাধীন শিন্ডে জোটের বিরুদ্ধে সলতে পাকাতে তৈরি হচ্ছে বিরোধীরা।
রাজনীতির অঙ্কের হিসেব কষার মাঝে এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন বাবা সিদ্দিকির পুত্র জিসান। হরিয়ানায় অপ্রত্যাশিত জয়ের পর বিজেপির এবার পাখির চোখ মহারাষ্ট্র। ২০নভেম্বরের নির্বাচনে মারাঠীরা কাকে বেছে নেবে ? বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ নাকি বিরোধীদের মহাবিকাশ আঘাড়িকে ? দ্রুত বদলে যাচ্ছে রাজনীতির পট। বিরোধীরা বিজেপিকে বেগ দিতে কোমর বেঁধে নেমেছে।
শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে,কংগ্রেস আর এনসিপি। গতবারের মতো এবারও তাঁরা ভোটভাগাভাগি রুখতে এককাট্টা। তবে এবারের বিধানসভা ভোটে পাওয়ারের ঘরে দেওয়াল তুলে দলবদল করা অজিত পাওয়ার বিজেপির হাত ধরায় অঙ্কটা গোলমেলে হয়েছে কিছুটা।
তবুও প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া,আইনশৃঙ্খলার অবনতি সহ একাধিক ইস্যুতে বিরোধীরা ক্ষমতাসীন সরকারকে বিঁধতে তৈরি হচ্ছে। টক্করের ঝাঁজ যত বাড়ছে ততই চমক দেওয়ার চেষ্টা করছে,সেজন্য উদ্ধব পুত্র আদিত্যের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের মুখ মিলিন্দ দেওরা।
কংগ্রেসের হাত ছেড়ে শিবসেনা শিন্ডে গোষ্ঠীর হয়ে লড়ছেন তিনি। যার জন্য ওরলির বিগ ফাইট জমে উঠেছে।উল্লেখ্য, ওরলি আসনটি শিব সেনার শক্ত ঘাঁটি। ২০১৯ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও ওই কেন্দ্রে ৭২ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছিলেন আদিত্য ঠাকরে।
জিতেছিলেন প্রায় ৬৭ হাজার ভোটে। তখন শিব সেনা ভাঙেনি। কিন্তু এখন মারাঠা রাজনীতিতে ভাঙনের চোরাস্রোত প্রবল। শিব সেনা ভেঙে দুটুকরো হয়েছে। শিব সেনা থেকে বেরিয়ে এখন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে। দলের নাম ও প্রতীক এখন তাঁরই দখলে।
এবার একনাথ শিণ্ডের শিব সেনাই চ্যালেঞ্জ করছে আদিত্য ঠাকরেকে।তাই জনতাজনার্দন কোন দিকে সমর্থন জানায় তাই লক্ষ্যণীয়। মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে ‘নতুন প্রজন্মের দ্বৈরথ’ –এর মাঝে বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিসান যোগ দিয়েছেন এনসিপি অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীতে।
বিষ্ণোই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হাওয়া তুলতে মরিয়া বিজেপির দোসর এনসিপি –অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। সহানুভূতির হাওয়ায় তাঁরা জয় হাসিল করতে চায়।তবুও বিজেপি বিরোধীরা এই আইন শৃঙ্খলার ব্যর্থতাকে হাতিয়ার করে মহারাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন জোটের বিরুদ্ধে পরিবর্তনের হাওয়া তুলতে মরিয়া। এখন মারাঠা ভূমিতে কার অঙ্ক মেলে তাই দেখার।