দেশ

ছি, দাবিমতো পণ না মেলায় বধূকে ফোটানো হল এইচআইভি সংক্রমিত সূচ!

Shit, the bride was stabbed with an HIV-infected needle because the dowry was not paid as demanded!

Truth of Bengal: পণের জন্য নির্মম নির্যাতনের শিকার হলেন এক নববধূ। শ্বশুরবাড়ির চাহিদামতো ১০ লক্ষ টাকা দিতে না পারায় তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি এইচআইভি সংক্রমিত সুচ দিয়ে ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের সাহারনপুরে। আদালতের নির্দেশে পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।

সাহারনপুরের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) সাগর জৈন জানিয়েছেন, ‘‘ভুক্তভোগী মহিলা সাহারনপুরের বাসিন্দা। তাঁর স্বামী, দেওর, ননদ ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, বধূ নির্যাতন, ইচ্ছাকৃত ক্ষতি সাধন ও বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টার মতো গুরুতর ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।’’ পাশাপাশি, পণ সংক্রান্ত পৃথক মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

মহিলার বাবার অভিযোগ, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তিনি প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা খরচ করে মেয়ের বিয়ে দেন। জামাইকে একটি বিলাসবহুল গাড়ি ও নগদ ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাতেও শ্বশুরবাড়ির দাবি শেষ হয়নি। আরও ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় মহিলার উপর অকথ্য অত্যাচার শুরু হয়। এক মাসের মধ্যে তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে তাঁকে ফের স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হলেও নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।

অভিযোগ, অত্যাচারের চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন জোর করে তাঁকে এইচআইভি সংক্রমিত সূচ দিয়ে ইনজেকশন দেন। এর পর থেকেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। চিকিৎসা করানোর পর জানা যায়, তিনি এইচআইভি পজিটিভ। কিন্তু তাঁর স্বামীর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে প্রথমে তা গ্রহণ করা হয়নি বলে দাবি। পরে আদালতের শরণাপন্ন হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খুব গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।

Related Articles