মণিপুর সীমান্তে জারি নাইট কার্ফু,অনুপ্রবেশ রুখতে বাড়তি সতর্কতা
Night curfew imposed on Manipur border, extra precautions to prevent infiltration

The Truth Of Bengal: প্রতিবেশী বাংলাদেশে অশান্তির জেরে সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে কড়া নজরদারি। এমনকি কিছু এলাকায় জারি করা হয়েছে হাইএলার্ট। আশঙ্কা করা হচ্ছে,বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ হতে পারে। উল্লেখ্য,মণিপুরের ৩৯৮ কিমি সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা যুক্ত মায়নমারের সঙ্গে। বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত ভাগ করে নিতে হয় না।তবুও মায়ানমার দিয়ে অনুপ্রবেশের আশঙ্কা থাকে।
সেজন্য মেঘালয়ের পর মণিপুর সীমান্তেও নৈশ কার্ফু জারি করা হয়েছে।মণিপুর সরকার ডেপুটি কমিশনারদের ফেরজাউলও জিরিবামে নৈশ কার্ফু লাগু করার নির্দেশ জারি করে।একইসঙ্গে রাতে নজরদারি বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এক নির্দেশনামায় স্বরাষ্ট্র বিভাগের যুগ্ম সচিব,জানিয়েছেন, ল অ্যান্ড অর্ডার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে হবে।অতীতে দেখা গেছে,মণিপুরে অনুপ্রবেশ অনেকটাই বেড়ে যায়। তাই মণিপুর সীমান্তে আঁটোসাটো করা হয়েছে নিরাপত্তা। উত্তরপূর্বাঞ্চলের অনেক রাজ্যেই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। তাই সংবেদনশীল এলাকায় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মতোই রাজ্য পুলিশও কড়া নজর রাখছে।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তেও স্থলপথের মতোই জলপথে চলছে নজরদারি। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনের নদীও সমুদ্রে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জলসীমানায় ২৪ঘন্টা টহল দিচ্ছে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হোভারক্রাক্ট। সুন্দরবনের সবকটি উপকূল থানায় জলপথে পেট্রোলিং জারি আছে। এপার বাংলায় যাতে কেউ ঢুকতে না পারে সেজন্য পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। মোতায়েন করা হয়েছে সীমান্ত রক্ষীর অতিরিক্ত বাহিনী।পেট্রাপোল,বেনাপোল সীমান্তেও সর্বক্ষণের নজরদারি লাগু করা হয়েছে বলে বিএসএফের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।সবমিলিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত বা সীমান্ত সংলগ্ন এলাকাকে যে উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে,তা বলাই যায়।