স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ১ টাকার বদলে ২ টাকা নেওয়ায় চাকরি গলে স্বাস্থ্যকর্মীর!
In the health center instead of 1 taka take 2 taka, the job of the health workers!

Truth Of Bengal: সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ম অনুযায়ী রোগীর চিকিৎসার জন্য ১ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে ২ টাকা নেওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্যকর্মীকে হাতেনাতে ধরল বিজেপি বিধায়ক। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মহারাজগঞ্জে। জানা গিয়েছে মহারাজগঞ্জের ওই সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ব্যহত চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সবর ছিলেন জনতা। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ভুরিভুরি।
আউটডোর ডাক্তারদের দেখাতে গেল বেশী টাকা নেওয়া হত, এমনকি বেশিরভাগ সময় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ডাক্তারা থাকতেন না। রোগীদের ওষুধ কিনতে হত বাইরের দোকান থেকে। শুধুতাই নয় প্রসূতিদের যে সমস্থ সরকারি সুবিধা দেওয়ার কথা, সেগুলিও দেওয়া হতনা বলে অভিযোগ। সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এই সমস্থ অভিযোগ পেয়ে মঙ্গবার আচমকাই ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হাজির হন মহারাজগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক প্রেম সাগর প্যাটেল। সেখানে গিয়ে বাড়তি টাকা নেওয়ার সময় সঞ্জয় নামে এক স্বাস্থ্যকর্মী তথা ফার্মাসিস্টকে ধরে ফেলেন বিধায়ক।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে হাতেনাতে ধরে ফেলার পর বিজেপি বিধায়ক প্রেম সাগর প্যাটেল বলেন ‘আপনার কত বড় সাহস, এক টাকার জায়গায় দু’টাকা করে নিচ্ছিলেন!’ এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। ভিডওটিতে বিজেপি বিধায়ককে বলতে শোনা গিয়েছে ‘গরিব লোকেদের থেকে জোর করে টাকা আদায় করছেন। উনি যদি ৫০ টাকা নেন সেখান থেকে আপনারা ২০ টাকা ভাগ পাচ্ছেন।’ পাল্টা অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী দাবি করেন তিনি টাকা নেননি। উত্তরে বিধায়ক বলেন ‘আমি বুঝতে পেরেছি। আমাকে কিছু বোঝাতে হবে না। এইভাবে আপনারা গ্রামের মানুষের অশিক্ষা ও দারিদ্রের সুযোগ নেন।’
বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন‘আপনারা যেভাবে গরিবের থেকে টাকা নিচ্ছেন তাতে একদিন এরাই আপনাদের ধরে পেটাবে। আপনারাই যত নষ্টের গোড়া। সরকারি হাসপাতালকে নষ্ট করে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে তোল্লাই দিচ্ছেন আপনারা। সরকার সব সুবিধা সরকারি হাসপাতালে দিয়েছে। তার পরও এই দুর্নীতিগ্রস্ত লোকেদের জন্য সাধারণ মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয়। রোগী এলেই আপনারা রেফার করে দিচ্ছেন। রেফার করলে এখন থেকে কারণ লিখবেন, কেন রেফার করা হল?’ জানা গিয়েছে অভিযুক্ত সঞ্জয় একজন ঠিকাকর্মী। বিধায়কের অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাকরি যায় সঞ্জয়ের।