স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে ফুটবল! প্রকাশ্যে উত্তপ্ত মণিপুরের ভিডিও
Football with automatic rifle in hand! Video of Manipur heats up in public

Truth Of Bengal: মণিপুরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই একটি চাঞ্চল্যকর ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, কয়েকজন যুবক এবড়ো-খেবড়ো মাঠে ফুটবল খেলছেন। পরনে সবুজ জার্সি, বল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু তাঁদের হাতে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় অ্যাসল্ট রাইফেল! গোল করার পর রাইফেল উঁচিয়ে উল্লাসও করছেন তাঁরা।
This video of a football tournament in Manipur has gone viral on social media. What is deeply disturbing is the open display of sophisticated weapons by the so called footballers. Or is it a football tournament of Kuki Militants?
We urge the authorities to investigate this… pic.twitter.com/3IC5uY9BkH
— Meitei Heritage Society (@meiteiheritage) February 6, 2025
ভিডিওটি কোথায় ধারণ করা হয়েছে, তা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য না থাকলেও অনুমান করা হচ্ছে ঘটনাটি মণিপুরের কাংপোকপি জেলার। যদিও এটি কয়েকদিন আগের ঘটনা, সম্প্রতি তা নজরে এসেছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খেলোয়াড়দের হাতে AK সিরিজের ও আমেরিকার তৈরি M সিরিজের রাইফেল। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি ইম্ফল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরের গামনোমফাই গ্রামের।
ভিডিওটি প্রথমে এক ব্যক্তি পোস্ট করেন, যার নাম দেখে মনে করা হচ্ছে তিনি কুকি সম্প্রদায়ের। পরে অবশ্য তিনি সেটি মুছে দিয়ে শুধুমাত্র ফুটবল ম্যাচের অংশ আপলোড করেন, যেখানে অস্ত্রের দৃশ্য বাদ দেওয়া হয়। ভিডিওতে “কুকিল্যান্ড” লেখা রয়েছে, এবং খেলোয়াড়দের পোশাকে থাকা লোগো দেখে অনুমান করা হচ্ছে, তাঁরা কুকি ন্যাশনাল ফ্রন্ট (পি)-র সদস্য।
মণিপুরের মেইতেই সম্প্রদায়ের সংগঠনগুলি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিং ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ট্যাগ করে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। তাঁদের প্রশ্ন, “এটা কি ফুটবল টুর্নামেন্ট, নাকি কুকি জঙ্গিদের দাপট? ফুটবলের নামে প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে ঘোরা উদ্বেগজনক!”
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে মণিপুরে ভয়াবহ জাতিগত হিংসার পর সেনাবাহিনীর অস্ত্র লুট করে উগ্রপন্থীরা। সেই অস্ত্র দিয়েই দীর্ঘদিন ধরে হিংসা চলে আসছে। কুকি ও মেইতেই, দুই সম্প্রদায়ই অস্ত্রসহ ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে শক্তি প্রদর্শনের বার্তা দিয়েছে। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে সেনাবাহিনীর গ্রেনেড লঞ্চার—এমন অসংখ্য ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। দুই বছর পরও পরিস্থিতি যে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি, তা এই ফুটবল মাঠের ভিডিও থেকেই স্পষ্ট।