
The Truth Of Bengal : সত্যি কি বিচিত্র দেশ ভারত। একদিকে তেতেপুড়ে নাজেহাল দেশটির এক অংশ। অন্যদিকে ঘূর্ণিঝড়ের, ভূমিধ্বসে জর্জরিত দেশের অন্য অংশ। এই সদ্য রেমালের দাপট সারিয়ে স্বাভাবিক পরিস্থিতে ফিরেছে বাংলা। ২৬ মে রাত সাড়ে ১০ টা থেকে মধ্যরাত ১২ টা পর্যন্ত যে হারে তাণ্ডব চালিয়েছিল রেমাল তাতে শহর সহ বঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। একাধিক জায়গায় গাছ পড়ে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে, স্যাঁতসেঁতে দেওয়াল ধসে সাধারণ মানুষের জনজীবন কয়েকদিনে বিপন্ন করে দিয়েছিল এই বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
রেমালের দাপটে শুধুমাত্র বঙ্গেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। কেবল বঙ্গ না লণ্ডভণ্ড অবস্থা উত্তর পূর্বাঞ্চলের একাধিক অঞ্চল।মিজোরাম,মেঘালয়,অসমও নাগাল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড়ের জন্য ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।প্রাণহানি থেকে সম্পত্তির ক্ষতি দেখা গেছে সেভেন সিস্টার্সের অন্তর্গত এই রাজ্যগুলোতে। মিজোরামের আইজলে লাগাতার বৃষ্টিতে পাথর খনি ধসে ২৯ জনের ও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে ৷ ঘটনার নিখোঁজ বেশ কয়েকজন। রেমালে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব মিটতে না মিটতে, ভারতের উত্তরদিকের রাজ্যগুলিতে তীব্র গরমের জেরে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। রাজধানী দিল্লিতে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। ইতিমধ্যেই সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে ফেলেছে দিল্লির পারদ।
তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৫২.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। যা দেশের সর্বকালের রেকর্ড। মৌসম ভবনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আরও কয়েকদিন দিল্লিতে এই তাপমাত্রা বিরাজ করবে। একদিকে প্রবল তাপপ্রবাহ, অন্যদিকে তীব্র জলসংকট সব কিছু মিলিয়ে দিল্লিবাসি কবে স্বস্তি পাবে তা এখনই জানা যাচ্ছে না। দিল্লির পাশাপাশি তপ্ত কড়াই রাজস্থানও। গত কয়েকদিনে কেবল রাজস্থানে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের। এই গরমের দৌড়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহার। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে গরমে অকারণে বাইরে বেরোতে সরকারের তরফ থেকে বারবার সতর্ক করা হচ্ছে। বিহারের এক স্কুলে গরমের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৮ জন পড়ুয়া। ক্লাস চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ে তারা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এইভাবে গরমের দাপট চলতে থাকলে আগামী দিনে বিশ্ব উস্নায়নের ফলে দেশের হাল খুবই ভয়াবহ হতে চলেছে এমনটাই জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।