দেশ

জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য বিজেপি সাংসদের, তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের

এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয় রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের তরফ থেকে।

Truth Of Bengal: আবারও বিতর্কিত মন্তব্য জাতীয় সঙ্গীতকে ঘিরে। এবার এই নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিপাকে জড়ালেন এক বিজেপি নেতা। তিনি কর্ণাটকের বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর কাগেরি। কী বলেছেন তিনি? তাঁর বক্তব্য, ব্রিটিশ আধিকারিকদের স্বাগত জানানোর জন্য ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’ লেখা হয়। এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও দাবি, ‘বন্দে মাতরম’ হওয়া উচিত ছিল ভারতের জাতীয় সঙ্গীত।

এক অনুষ্ঠানে বিজেপি সাংসদ বলেন, “জাতীয় সঙ্গীত করার দাবি ওঠে বন্দে মাতরমকে। আমাদের পূর্বপুরুষদের বক্তব্য, বন্দে মাতরম ও ব্রিটিশদের স্বাগত জানাতে লেখা জন গণ মন দুটোই থাকুক এবং সেটা মেনে নি আমরা।” বিশ্বেশ্বর কাগেরির এই মন্তব্য জনসম্মুখে আসতেই শোরগোল পরে বঙ্গ রাজনীতিতে। বলা ভালো, শুরু হয় তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা।

এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করা হয় রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেসের তরফ থেকে। দলের নেতা প্রিয়াঙ্ক খারগে এক্স হ্যান্ডেল থেকে লেখেন, “আরও একটি দিন। আরও একটি পাঠ আরএসএসের ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইতিহাসে’র।” বিজেপি সাংসদের মন্তব্য কে ‘সবচেয়ে বড় ভুল’এর তকমা দেন। তিনি বলেন, “১৯১১ সালে ভারত ভাগ্য বিধাতা লিখেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, পরে যার কিছু অংশ জন গণ মন হয়। সেই বছরই তা গাওয়া হয় জাতীয় কংগ্রেসের এক অধিবেশনে। গাওয়া হয়নি ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে।”

এরপর আরএসএসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে কংগ্রেস নেতা দাবি করেন যে তাদের ইতিহাস রয়েছে ইতিহাস থেকে শুরু করে সংবিধান ও জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করার। তিনি বলেন, “সংবিধান, পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীতকে অপমান করার ইতিহাস রয়েছে আরএসএসের। প্রতিকার করা দরকার এই ভাইরাসের।” প্রিয়াঙ্ক খারগের এই পোস্ট সকলের নজরে আসতেই শুরু হয় কমেন্টের বন্যা। কেউ তাঁকে সমর্থন জানান। আবার অনেকে তাঁকে সমর্থন করেননি। তবে দিনের শেষে জাতীয় রাজনীতিতে এই পোস্ট এই মুহূর্তে এক বড় আলোচনার বিষয়। গেরুয়া শিবির যে এমন মন্তব্যের জেরে চরম অসস্তিতে পড়েছে, তা না বললেও চলে।