Big Breaking :নতুন করে উত্তাল পাক অধিকৃত কাশ্মীর, চলছে হরতাল
Big Breaking: Pak Occupied Kashmir is in turmoil again, the hartal is going on

The Truth Of Bengal : হিংসা থামছে না পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। ক্রমশ হিংসা আর হত্যার ভয়াবহ ছবি ধরা পড়ছে প্রতিবেশী দেশে।এখন মুজফফরাবাদে হিংসার উন্মত্ত ছবি প্রকাশ্যে আসতেই অস্থিরতা প্রকট হয়েছে।চড়া রাজস্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়ে অধিকৃত কাশ্মীরের নাগরিকরা গণবিদ্রোহ শুরু করেছেন।মূলতঃ তাঁদের অঞ্চলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ অন্যত্র সরবরাহ করার অভিযোগকে হাতিয়ার করে প্রতিবাদীরা পথে নেমেছেন। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটি নামে একটি স্থানীয় সংগঠনের তরফে গত মাসে গোটা রাজ্য থেকে মুজফ্ফরাবাদগামী একটি মিছিলের ডাক দেওয়া হয়।
সেই মিছিল থেকে পাকিস্তান সরকার বিরোধী স্লোগান বাড়তে থাকে।সবার মুখে একটাই রব স্বাধীনতা চাই।এমনকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতীয় পতাকাও উড়তে দেখা যায়। উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশ-ও আধাসেনার তুমুল সংঘর্ষ বেঁধে যায়।দুজন নাগরিক গুলিতে প্রাণ হারায়।এবার হিংসার আগুনে এক পুলিশ অফিসারের হত্যার অভিযোগ উঠল উত্তেজিত জনতার বিরুদ্ধে। পাক সরকারের দমনপীড়নের জন্য পুলিশ অফিসারের প্রাণ যাওয়ার পাশাপাশি অন্ততঃ ৯০জন জখম হয়েছেন। এদিকে পুলিশি দমনপীড়ন আর গাজোয়ারির মাঝে প্রতিবাদী জম্মু-কাশ্মীর জয়েন্ট আওয়ামি অ্যাকশন কমিটির ১২জনের ওপর সদস্যকে গ্রেফতার করার ঘটনা দেখা গেছে। শুক্রবার এই সংগঠনের তরফ থেকেই ডাকা হয় হরতাল। যারজন্য মুজফ্ফরাবাদ, রাওয়ালকোট, খুইরাট্টা, তত্তপানি সহ অন্যত্র হরতাল পালিত হয়। তারই মধ্যে মুজফ্ফরাবাদে প্রতিবাদীদের একটি মিছিল বেরিয়েছিল। শনিবার শান্তিপূর্ণ সেই মিছিল পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী আটকাতে গেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। মিছিল থেকে পুলিশের দিকে উড়ে আসতে থাকে পাথর।মুজাফফরাবাদের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রধান সৌকত নাওয়াজ মির জানিয়েছেন,এই ঘটনার প্রতিবাদে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সমস্ত দোকানপাটও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ঝাঁপ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এমনকি হরতালের জন্য চাক্কা জ্যামেরও কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। একইসঙ্গে মির আরও ডাক দিয়েছেন,যে এই পাকিস্তানের নির্মম অত্যাচার আর সহ্য করা হবে না।নাগরিকদের চলাফেরা থেকে স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার কেড়ে নেওয়াও নির্লজ্জ দমনপীড়নের বিরুদ্ধে গণপ্রতিবাদে অংশ নেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়েছে।প্রত্যেক নাগরিককে তিনি প্রতিবাদে সামিল হওয়ার জন্য খোলামেলা আবেদনও করছেন।সৌকত নওয়াজ মিরের আরও বক্তব্য,বিদ্যুতের ওপর কোনও শুল্ক আরোপ করা যাবে না,বিদ্যুত উত্পাদনের জন্য যে ব্যয় হচ্ছে সেই অনুযায়ী বিদ্যুতের দর ঠিক করতে হবে। উল্লেখ্য,৫মে ভারতের বিদেশ মন্ত্রী এস জয়শঙ্কর স্পষ্ট বার্তা দেন,পাক অধিকৃত কাশ্মীর আসলে ভারতেরই অংশ। এখন সেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর পাক দুঃশাসনের জন্য চরম সমস্যায় রয়েছে। একই সঙ্গে একটি সাক্ষাত্কারে দাবি করেছেন,কোনওসময়েই পাক অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানের নিজস্ব ভূখণ্ড ছিল না।ভারতের সেই দাবির মাঝে এখন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের এই অগ্নিগর্ভ অবস্থা কার্যতঃ পাকিস্তানকে নাজেহাল করছে।রাষ্ট্রসংঘ সহ আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে যে পাকিস্তান মুখ খুলত এখন তাঁরাই পাল্টা প্রশ্নের মুখে পড়ছে।কেন পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রাখা হয়েছে তা নিয়ে ইসলামাবাদ বেশ চাপে বলে কূটনৈতিক মহল মনে করছেন।