দেশ

আচ্ছেদিন নিয়ে আমজনতার প্রশ্নের মাঝেই বাজেটের আগে বেকরাত্বের ছবিটা বেআব্রু হল

Amidst public questions about Achhe Din, the picture of a bachelor party before the budget was exposed

Truth Of Bengal: ৩১জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বাজেট অধিবেশন। ১ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এই বাজেট নিয়ে শিল্পমহলের মতোই আমাজনতাও আশা করছে তাদের সুরাহায় কিছু ঘোষণা করা হবে। মনে করা হচ্ছে,এবার আয়করে ছাড়ের উর্ধ্বসীমা বাড়তে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আভাস মিলছে, নতুন করব্যবস্থায় ১০লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়কে করমুক্ত করা হতে  পারে। এখন নির্মলা সীতারামন  বাজেটে এই বিষয়ে কী ঘোষণা করেন তার দিকে তাকিয়ে মধ্যবিত্ত সমাজ।

শুধু কর্মসংস্থান বা চাকরিই নয়,  জিনিসের দাম কমবে কিনা তাও লক্ষ্যণীয়। কারণ দিনের পর দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে চলেছে। অগ্নিমূল্যের আঁচ কমাতে কেন্দ্র বাজারে নজরদারি বাড়াক এমনটাও দাবি তুলেছে বিরোধীরা।কারণ জিনিসের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের ব্যয় বেড়ে গেছে। যার জন্য আয়ের থেকে ব্যয় বেশি হচ্ছে,কমছে সঞ্চয়ের পরিমাণ। ক্ষমতায় আসার পর মোদি সরকার,আচ্ছেদিন আনার কথা দিয়েছিল। একদিকে,মেক ইন ইন্ডিয়া অন্যদিকে স্টার্টআপ ইন্ডিয়া-স্ট্যান্ডআপ ইন্ডিয়া প্রকল্প ঘোষণা করে। কোভিড পরবর্তী সময়ে সেইসব প্রকল্প সেভাবে কোনও উদ্যোগে সাহায্য করতে পারছে না বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে।

এরমাঝে কেন্দ্রীয় রিপোর্টে ধরা পড়েছে কেন্দ্রের ব্যর্থতার নয়া নজির। দেখা যাচ্ছে,  উৎপাদন ক্ষেত্রে বড়সড় ধাক্কা এসেছে। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের পরিসংখ্যানই বলছে, বিজেপির শাসনে  অনথিভুক্ত  উৎপাদন ক্ষেত্রের চাকরি  বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কর্মসংস্থান গত ১৪ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। পরিসংখ্যান বলছে, ২০১০-১১’র তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে কাজই নেই  প্রায় ১২ লক্ষ মানুষের।

এনএসও-র  এই তথ্য প্রকাশে আসতেই প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত এই অনথিভুক্ত উত্পাদন ক্ষেত্রে নাম নথিভুক্ত করা হয় না। গত অর্থবর্ষে অনথিভুক্ত উৎপাদন ক্ষেত্রে চাকরি করছেন ৩ কোটি ৩৭ লক্ষ। অথচ এই সেক্টরই ২০১০-১১ অর্থবর্ষে  মনমোহন সিংয়ের আমলে  ৩ কোটি ৪৯ লক্ষ মানুষের হাতে কাজ জুগিয়েছিল।তাই কর্মসংস্থান বেহাল দশা কাটাতে কেন্দ্র বাজেটে কোনও স্টিমুলেশন প্যাকেজ ঘোষণা করে কিনা তাও লক্ষ্যণীয়।

Related Articles